পাতা:প্রাকৃতিকী.pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রাণতত্ত্ব
১৩৯

কণাপ্রবাহ চলিতেছে তাহা ঠিক্ করিয়া, ধৃত সঙ্গীর সন্ধান করা উহাদের পক্ষে কঠিন হয় না।

 ঘ্রাণতত্ত্বের ঐ পুরাতন সিদ্ধান্তটিকে বিজ্ঞানের নুতন আলোকে পরীক্ষা করিয়া লওয়ার কথা, এ পর্য্যন্ত কোন বৈজ্ঞানিকেরই মনে স্থান পায় নাই। ডাক্তার এট্‌কিন্ (Dr. John Aitkin) এখনকার একজন খ্যাতনামা বৈজ্ঞানিক। ইনি ইংলণ্ডের সুপ্রসিদ্ধ রয়্যাল্ সোসাইটির জনৈক পুরাতন সভ্য। তা’ছাড়া কয়েকটি সুসজ্জিত পরীক্ষাগারের পরিচালন ভারও তাঁহার উপর ন্যস্ত আছে। প্রাণতত্ত্ব লইয়া অধ্যাপক মহাশয় সম্প্রতি অনেক গবেষণা করিয়াছেন। এই গবেষণার ফলে যাহা জানা যাইতেছে, তাহাতে সকলে বিস্মিত হইয়া পড়িয়াছেন। ইনি বলিতেছেন, কোন দ্রব্য যখন বাষ্পাকারে পরিণত হইয়া নাসিকারন্ধ্রে প্রবেশ করে, আমরা তখনি তাহার গন্ধ অনুভব করি। পদার্থের অতি সূক্ষ্ম অংশ কঠিনাকারে থাকিয়া নাসিকায় পৌঁছিলে গন্ধজ্ঞান হয় না, বাষ্পাকারে পরিণত হওয়া একান্ত আবশ্যক।

 ডাক্তার এট্‌কিনের পূর্ব্বোক্ত সিদ্ধান্তটি কেবলমাত্র অনুমানমূলক নয়। প্রত্যক্ষ ও সহজ পরীক্ষা দ্বারা ইনি নিজের প্রত্যেক কথার সমর্থন করিয়াছেন।

 পাঠক অব্যই শুনিয়াছেন, কোন বায়বীয় জিনিষকে জমাট বাঁধাইতে ধূলিকণাদির ন্যায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কঠিন জড়কণা অনেক সাহায্য করে। দুইটি একই আকারের পরিষ্কার কাচপাত্রে কেবল মাত্র জলীয় বাষ্প আবদ্ধ রাখিলে, জল যতক্ষণ তাহাদের মধ্যে বাষ্পাকারে থাকে, ততক্ষণ তাহাকে জল বলিয়া চেনা যায় না। কিন্তু একটি পাত্রে কিছু ধূলিকণা ফেলিয়া, পরে উভয় পাত্রস্থ বাষ্পকে জমাইবার চেষ্টা করিলে, ধূলিযুক্ত পাত্রটির বাষ্পকে সর্ব্বাগ্রে জমাট বাঁধিতে দেখা যায়। পূর্ব্বের স্বচ্ছ বাষ্পপূর্ণ পাত্রে, কুয়াশার ন্যায় অস্বচ্ছ জলকণার সঞ্চার হইতে