পাতা:প্রাকৃতিকী.pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
একটি নূতন আবিষ্কার
১৮৯

আতঙ্কিত হইবার কারণ নাই। আমাদের অতি প্রাচীন পিতামহগণ এই ভারতবর্ষে বসিয়াই প্রকারান্তরে এই সত্যের সন্ধান পাইয়াছিলেন। তার পর আমাদের স্বদেশবাসী মহা বৈজ্ঞানিক ডাক্তার জগদীশচন্দ্র বসু মহাশয় পাশ্চাত্য বিজ্ঞানের আলোকে সেই সত্যকে দেখাইয়াছেন। ডুবার‍্ন্ সাহেব প্রকারান্তরে তাহাই দেখাইবার চেষ্টা করিয়াছেন। কিন্তু বহু মহাশয়ের প্রত্যেক উক্তিই যেমন শত শত প্রত্যক্ষ পরীক্ষা দ্বারা সমর্থিত হইয়াছে, ডুবার‍্ন্ সাহেবের কোন কথারই মূলে সে প্রকার যুক্তি খুঁজিয়া পাওয়া যায় না। স্বদেশী বিদেশী দার্শনিকগণ বহুকাল হইতে মূল জড়কণাকে সজীব বলিয়া কল্পনা করিয়াছেন। বিখ্যাত পণ্ডিত লিবনিজ (Leibnitz) সাহেব আরও উচ্চে উঠিয়াছিলেন। তিনি পরমাণুকে সজীব বলিয়াই নিরস্ত হন নাই, ইহাদের ইচ্ছাশক্তি আছে বলিয়াও তাঁহার মনে হইয়াছিল।