পাতা:প্রাকৃতিকী.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পরশ-পাথর

রসায়ন শাস্ত্রের ইতিহাস অনুসন্ধান করিলে দেখা যায়, এক সময়ে এক দল লোক পরশ-পাথয়ের খোঁজে ব্যস্ত হইয়া পড়িয়াছিলেন। তখন আধুনিক রসায়নী বিদ্যার ভিত্তিও প্রোথিত হয় নাই। এই সম্প্রদায়ের বিশ্বাস ছিল, পৃথিবীতে নিশ্চয়ই এমন একটা বস্তুর অস্তিত্ব আছে, যাহার স্পর্শে লৌহ প্রভৃতি ইতর ধাতুকে সুবর্ণে পরিণত করিতে পারা যায়। কোথা হইতে এই বিশ্বাস তাঁহারা পাইয়াছিলেন, তাহার খোঁজ পাওয়া যায় না। তাঁহারা আধুনিক বৈজ্ঞানিকদিগের ন্যায় বৈদ্যুতিক চুল্লী, বুনসেনের শিখা, তাপমান বা বায়ুমান যন্ত্র কিছুই ব্যবহার করিতেন না,—নানা প্রকার গাছের শিকড়ের রস, তন্ত্রমন্ত্র, জপ হোম প্রভৃতি উপকরণ লইয়া লৌহকে সুবর্ণে পরিণত করিবার জন্য সাধনা করিতেন। শুনা যায়, এই সাধনায় নাকি তাঁহার সিদ্ধিলাভও করিয়াছিলেন। এই বৈজ্ঞানিকদের অস্তিত্ব আর নাই, তাঁহাদের পুঁথিপত্রও লোপ পাইয়াছে, সুতরাং কোন্ সূত্র ধরিয়া তাঁহারা পরশ-পাথরের আবিষ্কারে নিযুক্ত হইয়াছিলেন, তাহা এখন জানিবার উপায় নাই। আছে কেবল তাঁহাদের নাম—আল্‌কেমিষ্ট্।

 আধুনিক বৈজ্ঞানিকগণ এই আল্‌কেমিষ্টদের অদ্ভুত খেয়াল ব্য পাগলামির কথা স্মরণ করিয়া যে কত বিদ্রূপ করিয়াছেন তাহার ইয়ত্তাই হয় না। কিন্তু গত দশ বৎসরে রসায়ন শাস্ত্রে যে সকল অদ্ভুত আবিষ্কার হইয়াছে, তাহাতে সেই বিদ্রূপকারিগণই বুঝিতেছেন, আল্‌কেমিষ্টরা পাগল ছিলেন না, তাঁহাদেরও সাধনা ছিল এবং তাহার ফলে তাঁহাদের সত্য-