বলিয়া স্বীকার করিতে চাহিতেছেন না। দূরবীক্ষণে এগুলিকে যে প্রকার সরল ও সুবিন্যস্ত দেখা যায়, কোন নদনদীকে স্বাভাবিক অবস্থায় সে প্রকার দেখা যায় না। এই সকল যুক্তির উপর নির্ভর করিয়া ইহারা বলিতেছেন, মানুষ অপেক্ষা সহস্রগুণে বুদ্ধিমান কোন প্রাণী নিশ্চয়ই মঙ্গলে বাস করিতেছে, এবং ইহারাই বুদ্ধিকৌশলে ঐসকল বৃহৎ খাল খনন করিয়া গ্রহের সর্ব্বাংশে জল যোগাইতেছে।
এই লেখায় এই অংশে একটি চিত্র থাকা উচিৎ। যদি আপনি তা দিতে পারেন, তবে, দয়া করে সাহায্য:চিত্র দেখুন। |
মঙ্গলগোলকস্থ কৃষ্ণরেখাগুলি সত্যই জলপ্রণালী, তাহাতে আর সন্দেহ নাই। মেরুপ্রদেশের বরফ গলিতে আরম্ভ করিলে, ঐ রেখাগুলিকে সুস্পষ্ট দেখা যায়। জ্যোতির্ব্বিদ্গণ বলেন, বরফের জলে খালগুলি পূর্ণ হইলে, তাহার উভয় তীরের সিক্ত মৃত্তিকায় যে-সকল উদ্ভিদ জন্মে, তাহাই খালগুলিকে স্পষ্ট করিয়া দেয়।
আর একদল পণ্ডিত পূর্ব্বোক্ত সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ করিয়া বলিতেছেন, মাঙ্গলিক খালের ন্যায় সুবিন্যস্ত ছোট ছোট খাল চন্দ্রমণ্ডলের স্থানে স্থানে দেখা যায়। চন্দ্র যে সম্পূর্ণ নির্জীব, তাহাতে আর এখন মতদ্বৈধ নাই; সুতরাং যে প্রাকৃতিক শক্তিতে চন্দ্রে খালের উৎপত্তি হইয়াছে, মঙ্গলের খালগুলি সেই শক্তি দ্বারাই উৎপন্ন হইয়াছে বলিয়া স্বীকার করা অযৌক্তিক নয়। তা’ছাড়া মঙ্গলের যে-সকল অংশকে জ্যোতিষিগণ সমুদ্র বলিয়া স্থির করিয়াছেন, অনেক খালকে সেই সকল সমুদ্রের উপরেই অবস্থিত দেখা যায়; সুতরাং জল-চালনাই যদি খাল-