পাতা:প্রাকৃতিকী.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩০
প্রাকৃতিকী

Air) ন্যায় শীতল পদার্থে এবং বৈদ্যুতিক চুল্লীর ন্যায় গরম স্থানে ধাতু সকল কিপ্রকার অবস্থায় থাকে, দক্ষ রসায়নবিদগণ নানা পরীক্ষায় তাহা আমাদিগকে দেখাইয়াছেন। এই সকল আবিষ্কারে আমাদের যে প্রচুর জ্ঞান বৃদ্ধি হইয়াছে, তাহা অবশ্যই স্বীকার করিতে হয়; কিন্তু এই জ্ঞানবৃদ্ধির সহিত আমাদের কাজের দিক্‌টা যে উন্নত হইয়া পড়িয়াছে, ইহা কখনই স্বীকার করা যায় না। ধাতুর ধাতুত্ব কোথায় তাহা অঙ্গুলি নির্দ্দেশ করিয়া না দেখাইলে, ধাতুর ব্যবহারের দিক্‌টা কখনই উন্নতি লাভ করিবে না। আজকাল অনেকে নানা ধাতু বিভিন্ন পরিমাণে মিশাইয়া কখন কখন ইচ্ছানুরূপ বহুগুণসম্পন্ন সঙ্কর ধাতু প্রস্তুত করিতেছেন বটে, কিন্তু এই মিশ্রণব্যাপারের কোনও বাঁধা নিয়ম ধরা পড়িতেছে না, কাজেই সকল সময়ে ইচ্ছানুরূপ কার্য্য করা যাইতেছে না। যে মূল ব্যাপার ধাতুকে তাপ ও বিদ্যুতের পরিচালক করে, এবং সঙ্গে সঙ্গে ঘাতসহ ও কোমল করে, তাহার আবিষ্কার না হইলে, কখনই ধাতুকে আমাদের সম্পূর্ণ ব্যবহারোপযোগী করা যাইবে না।

 বিদ্যুৎ-পরিচালন-শক্তি ধাতুমাত্রেরই একটা প্রধান ধর্ম্ম। কাঠ ও পাথরের ভিতর দিয়া বিদ্যুৎ সহজে চলাফেরা করিতে পারে না, কিন্তু ধাতুর ভিতর দিয়া বিদ্যুৎ অনায়াসেই চলিয়া যাইতে পারে। এই কারণে টেলিগ্রাফ্, টেলিফোন্ বা অপর কলে বিদ্যুৎ লইয়া যাইবার জন্য ধাতুর তারের ব্যবহার হয়। কার্পাস-সূত্র বা দড়াদড়ির ভিতর দিয়া বিদ্যুৎ চলিতে পারে না। ধাতুর এই বিদ্যুৎ-পরিবাহন শক্তির উপরেই বৈজ্ঞানিকদিগের প্রথম নজর পড়িয়াছিল। ধাতুর অণুপরমাণু কোন্ বিশেষ গুণে বিদ্যুৎ বহিয়া লইয়া যাইতে পারে, ইহাই তাঁহারা প্রথমে খোঁজ করিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন। এই অনুসন্ধানের ফলে যে সকল তত্ত্ব আবিষ্কৃত হইয়াছে, তাহা বড়ই