পাতা:প্রাকৃতিকী.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করার সময় সমস্যা ছিল।
৪০
প্রাকৃতিকী

ত্রিশ বৎসর পূর্ব্বে কোন রসায়নবিং পণ্ডিত কল্পনাই করিতে পারেন নাই, কিন্তু আজ কেবল বর্ণচ্ছত্রের সাহায্যে পার্থিব পদার্থ ত দূরের কথা, সূর্য্য ও বহুদূরস্থিত নক্ষত্রাদির গঠন উপাদান এবং চিররহস্যময় ছায়াপথের প্রকৃত তথ্য স্থিরীকৃত হইতেছে।

 বর্ণচ্ছত্রের আদিম ইতিহাস পর্য্যালোচনা করিতে হইলে, সার আইসাক্ নিউটনের কথা প্রথমেই আসিয়া উপস্থিত হয়। সাধারণ শুভ্রালোক যে, রামধনুস্থ কয়টি মূল বর্ণের সমষ্টি, তাহা নিউটনই খৃষ্টীয় ১৬৭৫ অব্দে সর্ব্বপ্রথম প্রচার করেন। একটি অন্ধকার গৃহে ক্ষুদ্র ছিদ্র দ্বারা সূর্য্য-কিরণ প্রবিষ্ট করাইয়া পরে পূর্ব্ববর্ণিত ত্রিকোণ কাঁচসাহায্যে আলোক বিশ্লিষ্ট করিয়া, লোহিত পীত বেগুনিয়া ইত্যাদি কয়েকটি বর্ণচ্ছত্র অর্থাৎ বর্ণশ্রেণী ইনিই সর্ব্বপ্রথমে বিজ্ঞানের আয়ত্তীভূত করিয়াছেন। কিন্তু বিশুদ্ধ বর্ণচ্ছত্র প্রাপ্তির কৌশল এবং রশ্মি সকলের বাঁকিবার পরিমাণ, সে সময় সম্পূর্ণ অপরিজ্ঞাত ছিল, এজন্য নিউটনের পাতিত বর্ণচ্ছত্রে সমগ্র মৌলিক বর্ণ দেখা যায় নাই। ইহা দ্বারা কেবল দুই বা ততোধিক বর্ণ মিলিয়া একটি অবিচ্ছিন্ন ও মিশ্র বর্ণচ্ছত্র রচিত হইয়াছিল মাত্র। যাহা হউক, শুভ্রালোক যে,