পাতা:প্রাকৃতিকী.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪২
প্রাকৃতিকী

পারে। কিন্তু উক্ত নির্দ্দিষ্ট পদার্থ ত্যাগ করিয়া, গাঢ় বা তরলতর আর একটি নূতন পদার্থে প্রবেশ করিতে আরম্ভ করিলে রশ্মিসকল পূর্ব্ব-অবলম্বিত সরল পথানুক্রমে চলিতে পারে না, এই দুই পদার্থের সন্ধিস্থলে আসিয়া ইহাদের পথপরিবর্ত্তন হয় এবং পদার্থের গাঢ়তা হিসাবে বাঁকিয়া নূতন পথানুক্রমে চলিতে হয়। এতদ্ব্যতীত আলোকপথ বাঁকিবার আরো কয়েকটি নির্দ্দিষ্ট নিয়ম আছে, বর্ত্তমান প্রবন্ধে সকল গুলির বিবরণ অনাবশ্যক।

 আলোকপথ-পরিবর্ত্তনের কোন পরিমাণ নির্দ্দিষ্ট নাই, একই রশ্মি অবস্থাভেদে নানা পথে চলিতে পারে। আলোকবাহক (Medium) পদার্থগুলি সমান থাকিলে, রশ্মি সকল কোন পদার্থ হইতে গাঢ়তর পদার্থে বক্রভাবে প্রবেশ করিয়া যে নূতন পথ অনুসরণ করে, পরীক্ষা করিলে তাহাকে আলোকবাহক পদার্থদ্বয়ের সন্ধিতলস্থ লম্বের সহিত প্রায় এক সরল রেখায় দেখা যায়, কিন্তু গাঢ় পদার্থ হইতে তরলতর পদার্থে প্রবেশ করিলে ইহার ঠিক বিপরীত ফল লক্ষিত হয়,—এস্থলে নূতন আলোকপথ উক্ত লম্ব হইতে দূরে গিয়া সন্ধিভূমির সহিত এক সমতলস্থ হইবার চেষ্টা করে। সকল আলোক-পথ পরিবর্ত্তনই এই দুইটি স্থূল নিয়ম দ্বারা সাধিত হয়। যদি কোন দুইটি স্বচ্ছ পদার্থের সন্ধিভুমিদ্বয় পরস্পর সমান্তরাল হয়, তাহা হইলে পূর্ব্বোক্ত নিয়ম প্রয়োগ করিলে দেখা যায় আলোক-পথ ভূমিদ্বয়ে দুইবার বাঁকিয়া, ইহার পূর্ব্ব পথের সহিত ঠিক্ সমান্তরাল হইয়া বাহির হইয়া আসিতেছে। কিন্তু ত্রিকোণ কাচফলকের মধ্যে সমান্তরাল ভূমি নাই, এজন্য আলোক-পথ ভুমিদ্বয়ে দুইবার বাঁকিয়া গিয়া, পরস্পর বিচ্ছিন্ন হইতেই চেষ্টা করে, সমান্তরাল হইবার কোনই সম্ভাবনা থাকে না। ত্রিকোণ কাচফলকের গঠনে এই বিশেষত্ব আছে বলিয়া ইহা দ্বারা আলোক বিশ্লেষণ হইয়া থাকে। নিউটনপ্রমুখ পণ্ডিতগণ রশ্মিপথের এই জটিল পরিবর্ত্তনের