পাতা:প্রাকৃতিকী.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৮
প্রাকৃতিকী

বর্ণচ্ছত্র হইতে পারে তাহা যুবক মেল্‌ভিলই সর্ব্বপ্রথম প্রচার করেন এবং স্থূল কাগজস্থ ক্ষুদ্র ছিদ্র দ্বারা ত্রিকোণ কাচ-মধ্যাগত আলোক পরীক্ষা করিয়া প্রজ্বলিত বাষ্পের স্থূলোজ্জ্বল রেখাময় বর্ণচ্চত্রের বিষয় ইনিই আবিষ্কার করেন। সামান্য যন্ত্র দ্বারা নানা জাতীয় বর্ণচ্চত্রের অস্তিত্ব আবিষ্কার করায় তাৎকালিক বৈজ্ঞানিক সমাজে মেলভিলের বিশেষ সমাদর হইয়াছিল; এই প্রকারে সম্মানিত হইয়া যুবক দ্বিগুণ উৎসাহে আলোকবিজ্ঞানের নানা গবেষণায় নিযুক্ত হইয়াছিলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যপ্রযুক্ত পুর্ব্বোক্ত আবিষ্ক্রিয়ার দুই বৎসর পরেই মেলভিলের মৃত্যু হওয়ায় বিজ্ঞানজগৎ বিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত হইল।

 মেল্‌ভিলের পর, বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক ওলাষ্টন্ বর্ণচ্ছত্রের গবেষণায় নিযুক্ত হন; ১৮০২ খৃষ্টাব্দে রয়াল্ সোসাইটির অধিবেশনে তাঁহার পরীক্ষালব্ধ কয়েকটি নূতন কথা প্রকাশিত হইয়াছিল। কিন্তু ইহা দ্বারা আলোকবিজ্ঞানের বিশেষ কোন উৎকর্ষতা সাধিত হয় নাই। আলোকবিজ্ঞানের উন্নতির ইতিহাস ঠিক কোন্ সময় হইতে আরম্ভ হয়, তাহার স্থিরতা নাই। এ সম্বন্ধে বৈজ্ঞানিকদিগের মধ্যে মতভেদ দৃষ্ট হয়, অনেকে বলেন, স্বনামপ্রসিদ্ধ যোজেফ ফ্রান্‌হোফারের সময় হইতেই আলোকবিজ্ঞানের উন্নতি আরম্ভ হয়। যাহা হউক ফ্রান্‌হোফারের বিখ্যাত আবিষ্কার এবং তাঁহার নানা পরীক্ষা, আলোকবিজ্ঞান ও বর্ণচ্ছত্রের ক্রমোন্নতির ইতিহাসে যে একটি মহৎ ঘটনা তাহাতে সন্দেহ নাই। ১৮১৪ খৃষ্টাব্দে ফ্রান্‌হোফার কর্ত্তৃক সৌর বর্ণচ্ছত্রে পূর্ব্ববর্ণিত কৃষ্ণরেখার আবিষ্কার হওয়ায় অনেকের দৃষ্টি এই দিকে আকৃষ্ট হইয়াছিল। দুইখানি ভিন্ন প্রকৃতি কাচ লইয়া, বিবিধ রশ্মির আলোকপথ পরিবর্ত্তনের পরিমাণ স্থির করিতে গিয়া এই জর্ম্মান্ পণ্ডিত, সৌর বর্ণচ্ছত্রে হঠাৎ কৃষ্ণরেখা আবিষ্কার করেন। অপর পণ্ডিতগণ ইঁহার এই অদ্ভুত আবিষ্কারে সন্দিহান হওয়ায়, থিওডোলাইট্ যন্ত্রের দূরবীক্ষণ দ্বারা, ঐ