পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

) ట প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান শবের পাশ্বে তাহার অনাশ্রয়া, ফুটফুটে সুন্দরী শিশু-কস্তাটি মাটীতে পড়িয়ছিল, তাহাকে একান্তরূপে সহায়-বজ্জিত দেখিয়া মণির ওঝ তাহাকে নিজের বাড়ীতে লইয়া আসিয়া লালন-পালন করিতে লাগিল । মণির চির কুমার, সামাজিক কোন সংস্কারের আকর্ষণেই সে এ পর্য্যন্ত ধরা দেয় নাই। এবার শিশুটির নিৰ্ম্মল হাস্ত ও সৌন্দৰ্য্য তাঙ্গকে ভুলাইল । সে দিন-রাত মেয়েটিকে কোলে-কাখে করিয়| ফিরিত । “এদিকে মেয়েটি যৌবনে পদার্পণ করিয়া অপরূপ রূপবতী হইয় উঠিল, তখন মণির পৌঢ়ত্বের সীমা অতিক্রম করিয়া বাদ্ধক্যে পৌছিয়াছে। মণির ভাবিল—“এই যুঁই ফুলের মত নিৰ্ম্মল ও সুন্দরী কুমারীকে কার হাতে দিব ? কোন পাষণ্ড ইহাকে উৎপীডন করিয়৷ আমার পালিত-কুল্পমটিকে পদতলে দলিত করিবে ?” অনেক চিন্তার পর সে ঠিক করিল –ইহাকে তাহার নিজেরই বিবাহ করা উচিত। সে কামের-বশীভূত হইয়। এই সঙ্কল্প করে নাই, তাহার চিত্তে রূপজ-মোতও কিছু ছিল না। তাহার এত যত্নের মাষ্ট্রর মাকে পাছে কেহু কষ্ট দেয়, এই পবিত্র ফুলের কুড়িটি পাছে কোন পাপিষ্ঠের স্পশে মলিন হয় ; এই আশঙ্কাই তাহার সিদ্ধান্তের মূলে ছিল। হয়ত বৃদ্ধ বয়সে সে সেই সেবাপরায়ণ সুন্দরীর হাতের যত্ন ও শুশ্ৰুষ পাইয়া সেই সেবার প্রতি তাহার একট। লোভ হইয়াছিল, কিন্তু বিশেষ কোন স্বার্থ-চিন্তা, কামুকতা ত নহেই, এই অসম-বিবাহের ইচ্ছার মধ্যে ছিল না। চারিদিকে অনেক বৃদ্ধ হিন্দু-মুসলমান অল্প-বয়সের রমণীদিগকে বিবাহ করিত, এই সকল দুষ্টান্ত তাহাব চোখের উপর ছিল । সুতরাং তাহার দিক হইতে এই কাৰ্য্য খুব গৰ্হিত বলিয়া তাহার মনে হয় নাই এবং সে এই মেয়েটির প্রতি শুভেচ্ছা-প্রণোদিত হইয়াই এই কাৰ্য্য করিতেছে— এই ভাবিয়া সে নিজেকে অপরাধী মনে করিতে পারে নাই । কিন্তু গ্ৰাম্য