এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান Y S ^ কবির তীক্ষতর দৃষ্টিতে বিবাহটি অতি অশোভন মনে হইয়াছিল, তিনি লিখিলেন— “লাল পরী যেন পিশাচেয় হাতে পড়িল । পদ্মের কলি যেন গোময়ে ডুৰিল ॥” “এক জুমাবারে বিবাহ হইয়া গেল। মাঞ্জর মা বাল্যকালে তাহার প্রায়-সমবয়স্ক হাসান নামক এক বালকের সঙ্গে খেল করিত এবং তাহাদের উভয়ের মধ্যেই অনুরাগ জন্মিয়াছিল। তাহার। মনে করিয়াছিল, মণির তাহাদিগকে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ করিবে । মণির অতর্কিতে স্বয়ং বিবাহের জন্য প্রস্তুত হইলে এই প্রণয়ী-যুগলের মাথায় যেন বজাঘাত झट्रेळी ।
- বুদ্ধ মণির অনেক চিন্ত করিয়া সুন্দরী ষোড়শকে বিবাহ করিয়াছিল। কিন্তু সে যুবতীদের প্রাণের ক্ষুধার কোন খবর রাখে নাই। তাহ যে ধন-মান, অবস্থার আরাম প্রভৃতি সকল কথার উদ্ধে—মনের মত স্বামী লাভ করাই সৰ্ব্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ মুখ মনে করে, এই তত্ত্ব বুদ্ধ মণির বুঝিতে পারে নাই । এই দিকদিয় তাহার ঠিকে ভুল হইয়াছিল । বিবাহের পরে গোপনে মঞ্জর মার সহিত হাসানের মিলন হইত—কত আশ্র কত সোহাগের লীলায় এই গুপ্ত-প্রেম মঞ্জুরিত হইয়া উঠিত । শেষে রোগী দেখিতে মণির ওঝা তিন দিনের জন্ত গৃহ ছাড়িয়া গেলে যুবক-যুবতী উধাও হইয়া গেল। মণির তিন দিন পরে বাড়ীতে ফিরিয়া মঞ্জির মা’কে ন! পাইয়া উন্মত্তবৎ তাহাকে কয়েক দিন খুজিয়া বেড়াইল এবং শেষে নদীতে ঝাপ দিয়া ডুবিয়া মরিল।”
গল্পটি এইরূপ । কৃষক-কবির ইহাতে আশ্চর্য্য কতিত্ব আছে । মণির ও মাঞ্জুর মা এই উভয় চরিত্রকে তিনি হৃদয়ের দরদ দিয়া গড়িয়াছেন। কলঙ্কিণী ও গৃহ-ত্যাগিণী মাণ্ডুর মা’র প্রতিও তাছার অপার করুণ। এই