বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

% ® o প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান একদিন তো না দেখিয়া থাকিতে নারিত। কোন পরাণে কৈল হেন কাজ বিপরীত।” ১০ । 'বার মাসের পাল।”— ইহার প্রতিটি ছত্র শেলের মত বুকে ঘ। দেয়-- “লক্ষনী না আঘন মাস বাওয়ার দাওয়া মারি । খসম মোর আনে ধান, আমি ধান লাড়ি ॥ দুই জনে বইসা শেষে ধানে দেই উনা । টাইল ভইর রাখি ধান করি বেচাকিনা হায়রে পরাণের খসম এমন করিয়া । কোন পরাণে রইলা তুমি আমারে ছাড়িয়া । পোষ না মাসেতে যখন ছাবে সাইল ক্ষেত। আমি না অভাগী পর দেই যত লেত খেত। উকায় ভরিয়া পানি ভামুক ভরিয়া । খসমের লাইগা থাকি পথপানে চাইয়া ॥ ক্ষেত না পেকিয় খসম যখন দেয় গুছি । ভাত না রান্ধিয়া তার লাগি বৈসা থাকি ॥ জাল আগাইয়া দেই ক্ষেতের কাছেতে। কত তারিপ করে খসম আসিয়া বাড়ীতে ॥ দারুণ মাঘ মাসের শীতে কঁপিয়ে পরাণী । উষাকালে উঠা খসম সাইল ক্ষেভে দেয় পানি ॥ আগুন লইয়া আমি যাই ক্ষেতের পানে। শীতে কঁাপি, আগুন ভাপাই দুই জনে ॥ সাইলের দাওয়া মারি যতনে তুলিয়। সুখে দিন যায়রে আমার ঘরেতে বসিয়া ॥