পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্য মুসলমানের অবদান R. - حسامی میسی করিতে মুসলমান লেখকগণই বিশেষরূপ যত্নশীল ছিলেন। এই দেশের সাহিত্যের উপর তাহাদের রাজকীয় শালমোহর সুস্পষ্ট । বাঙ্গালার মুসলমানগণের মাতৃভাষার প্রতি এই অনুরাগের নিদৰ্শন-স্বরূপ মহতী কীৰ্ত্তি এখন লোপ পাইবার মধ্যে। পাদ্রীরা বিশেষ করিয়া বাঙ্গালা দেশের পূৰ্ব্ব-প্রান্তের দেশগুলিতে যাহাতে বাঙ্গলা ভাষা আর প্রসার লাভ না করে, তৰ্জ্জন্ত চেষ্টা করিতেছে। আমাদের সঙ্ঘবদ্ধ হইয়। এই চেষ্টার প্রতিরোধ করা উচিত। যুগে যুগে বাঙ্গালী মুসলমান বাঙ্গলা ভাষাকে যে অমর ঐশ্বৰ্য্য দান করিয়াছেন, তাহা এখন অনেকেরই জানা নাই। আমি এই নিবন্ধে সেই ভাণ্ডারের দ্বার উদ্‌ঘাটন করিতে চেষ্টা পাইব । ডক্টর এনামুল ঠক্‌ লিখিয়াছেন —“সপ্তদশ শতাব্দীতে আরাকানের রাজসভায় বাঙ্গলা ভাষা যেরূপ নানাদিক্ দিয়া পুষ্টি লাভ করিয়াছিল, তাহার আপন ভূমিতে ইহা তেমন হইতে পারে নাই, প্রধানতঃ চট্টগ্রামের মুসলমান কবিদের হাতেই ইহা বিশেষ সমাদর লাভ করিয়াছিল, আরাকান রাজ-সভার মুসলমান কবিদের হাতেই বাঙ্গল ভাষা নূতন রূপ ও নবীন প্রেরণা লাভ করে।” আপনার আরাকান রাজ-সভায় বাঙ্গলা সাহিত্য’ নামক ডক্টর এনামুল হক ও আবদুল করিম সাহেবের উপাদেয় পুস্তকখানি পড়িয়া দেখিবেন, শুধু কবিরা নহেন, মুসুিম রাজপুরুষেরা পর্য্যন্ত এই ভাষার প্রতি কিরূপ গর্ভর আন্তরিকতা দেখাইয়াছেন। ৮সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথমাদ্ধে আরাকান-রাজ্য ঢাকা হইতে পেগু পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত ছিল। ১৬২২—৩৮ খ্ৰীষ্টাব্দ পর্য্যন্ত এই রাজ্যের প্রধান মন্ত্রী আশরাফ খান বাঙ্গলা ভাষার বিশেষ আমুরাগী ছিলেন, তাহারই আদেশে দৌলত কাজি অতি সুললিত ছন্দে ‘লোর চন্দ্রানী’ নামক বাঙ্গলা কাব্য রচনা করেন। তৎপরে কবি আলাওল মুসলমান সচিব মাগন ঠাকুরের আদেশে ‘পদ্মাবতী সৈয়দ মহম্মদের আদেশে “হপ্ত পয়কর” এবং মজলিস নামক অপর এক মন্ত্রীর ইচ্ছাক্রমে