বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬ প্রাচীন বাঙ্গল সাহিত্যে মুসলমানের অবদান রাজার আয়ত্ত করিতে চেষ্টা না করিয়া তাহাদিগকে অত্যাচার পূর্বক বিদ্রোহী করিয়া তুলিয়াছিলেন।” শুন্তপুরাণে আরও লিখিত আছে— “বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণেরা—যেখানে যেখানে সদ্ধক্ষ্মী, সেখানে সেখানে তাহাদের নিকট সাধ্যাতীত অর্থ প্রার্থনা করিতেন এবং অশক্তদিগের বাড়ী-ঘর পোড়াইয়৷ নানারূপ নিষ্ঠুর উৎপীড়ন দ্বারা এদেশে তাহাদিগকে অতিষ্ঠ করিয়া তুলিয়া ছিলেন। তাহাদের করুণ ক্ৰন্দনে বিচলিত নিরঞ্জনের আসন টলিয়াছিল।” প্রার্থনাটির আংশিক নিম্নে প্রদত্ত হইল— “বলিষ্ঠ হৈল বড় দশ বিশ হৈয়া জড় সন্ধক্ষ্মীরে করয়ে বিনাশ ॥ বেদ করে উচ্চারণ বাইর হয় অগ্নি ঘন ঘন দেখিয়া সবাই কম্পমান। মনেতে পাই মন্ম সবে বলে রাখ ধন্ম তোমা বিনে কে করে পরিত্রাণ ॥ এইরূপে দ্বিজগণ, করে স্বষ্টি সংহারণ ই বড় হৈল অবিচার ॥” এই উৎপীড়িত সদ্ধৰ্ম্ম ও নাথপন্থীদের ধৰ্ম্মমত ও সুফীদিগের মত অনেকটা এক প্রকার। ইহাদের সাদৃষ্ঠের কারণ এই যে, সুফী এবং নাথপন্থীদের মত উভয়ই মূলতঃ বৌদ্ধধৰ্ম্ম হইতে গৃহীত হইয়াছে। মুফীর মুসলমান হইলেও তাহাদের পদ্ধতি অনেকটা বৌদ্ধ মতানুযায়ী, বহু পণ্ডিত ইহা প্রমাণ করিয়াছেন। সেন-রাজগণের কোপানলে দগ্ধ হইয়৷ পূৰ্ব্ববঙ্গে নাথপন্থীরা ইসলামের আশ্রয় লইয়া জুড়াইয়াছিল। ইসলাম সেখানে উগ্রভাবে ধৰ্ম্মপ্রচার করে নাই। পূৰ্ব্ববঙ্গের বৌদ্ধ জন-সাধারণ সমধিক পরিমাণে সংখ্যায় গরিষ্ঠ ছিল। গোড় হিন্দু সমাজের উৎপীড়নে ইহারা স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া ইসলামের আশ্রয় গ্রহণ AAAAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAA SAAAA SAS SSAS SSAS SSAS SSAS