পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vs)&b প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান ডক্টর এনামুল হক, লিখিয়াছেন—“কবি র্তাহার কাব্যের প্রারম্ভে যে মঙ্গলাচরণটি লিখিয়াছেন, তাহ বড়ই চমৎকার ও উপভোগ্য ! দুঃখের বিষয়, বটতলার ছাপা পুথিতে ইহা পরিত্যক্ত হইয়া কোথা হইতে আর একটি বন্দনা সংযোজিত হইয়াছে। কবি তাহার বন্দনায় হিন্দু ও মুসলমান বিশ্বাসের মধ্যে কি কি সমান বস্তু আছে, তাহ। নির্দেশ করিতে গিয়া একটি বেশ উপভোগ্য বর্ণনা দান করিয়াছেন । তাহার হাতে—ফিরিস্তা (Angel) নারদে, আল্লাহ —ঈশ্বরে, পয়গম্বর (Prophet) দেবতায়, আদম (Adam) অনাদি-নরে, হাওয়া (Eve) কালীতে, হজরত মহম্মদ—চৈতন্য অবতারে, খাজা-খিজির—বামুদেবে, আসহাবগণ (Companions of the Prophet) affe Costetto, Atefańi-alifoli ( Muslim saints) মুনিতে, কোরান্‌—পুরাণে এবং পীর, মুর্শিদ ও ওস্তাদ–গুরুতে পরিণত হইয়াছেন ।” * এখনও উত্তর পশ্চিমে হিন্দুর মহরম উৎসবে যোগ দেয় এবং আমরা পীরের দরগায় সিন্নি দিয়া থাকি ; ইহাতে আশ্চর্য্যের বিষয় কিছুই নাই। হিন্দু-মুসলমান এদেশে চালে-চালে ঠেকাঠেকি হইয়া বাস করিতেছে, হিন্দুগৃহের মাধবীলতার ফুল মুসলমান-গৃহের চালায় যাইয়া ফুটিতেছে এবং মুসলমান-গৃহের এক-কোণ হইতে চন্দ্র-রশ্মি হিন্দুর মন্দিরের উপর পড়িতেছে। হিন্দুর উদ্যানের পুষ্প-মুরভি মুসলমানের আঙ্গিনার বায়ু বহিয়া আনিতেছে। এদেশে টিকিয়া থাকিতে হইলে হিন্দু-মুসলমানে যে সৌহাৰ্দ্দ্য ঘটিবে তাহাতে বিস্মিত হইবার কিছুই নাই। পল্লী-বাসীরা একত্র হইয়া পরস্পরের আনন্দোৎসবে যোগদান করে ; ইহা আমোদ বই আর কিছুই নয়। কবি এণ্টনী ফিরিঙ্গী ধুতি চাদর পরিয়া আসরে দাড়াইয়া রাধা-কৃষ্ণের গান গাহিতেন। কখনও কখনও—‘ভজন-সাধন জানিনা মা, • আরাকান রাজ সভায় বাঙ্গালা সাহিত্য-৮২ পৃঃ