বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বাঙ্গল সাহিত্যে মুসলমানের অবদান J)సి ہے .یہیے.ہے ہم سے حم_A-سم ۔ م سے যে যাহা মানস করে, সিদ্ধি হয় তার। হেক মত জাহির হইল দেশের মাঝার ॥ চাউল, কলা কত সিগ্নি আইসে নিভি নিতি। মোরগ, ছাগল, কইতর নাহি তার ইতি৷ সিঞ্জির কণিকা মাত্র পীর নাহি খায়। গরীব দুর্থীরে সব ডাকিয় বিলায় ॥” * এই পীর দূর হইতে কঙ্কের বাণী শুনিয়া তাহার প্রতি আকৃষ্ট হন । উভয়ের প্রতি উভয়ের নিবিড় পরিচয়ের ফলে গুরু-শিষ্য সম্বন্ধ স্থাপিত হয় । পীরের আদেশে কঙ্ক সত্যপীরের কাহিনী রচনা করে। পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি, ইহাই বঙ্গভাষার প্রথম ‘বিদ্যাসুন্দর’ । মলয়ার বারমাসী’ লিখিয়া কঙ্ক ইতিপূৰ্ব্বেই ‘কবি কঙ্ক’ নামে পরিচিত হইয়াছিল। সে এখন পীরের শিষ্য— “সৰ্ব্বদা নিকটে থাকে ভক্তিপূর্ণ মনে। চরণে লুটায় তার দেবতার জ্ঞানে ॥ তারপর জাতি-ধৰ্ম্ম সকল ভুলিয়া । পীরের প্রসাদ খায় অমৃত বলিয়া ॥ জাতি-ধৰ্ম্ম নাশ কৈল রাটল বদনাম। পীরের নিকটে কঙ্ক শিখিল কালাম ॥ দীক্ষিত হইল কঙ্ক সেই পীরের স্থানে । সৰ্ব্বনাশের কথা গর্গ কিছু নাহি জানে ॥ পীরের নিকটে যায় অতি সঙ্গোপনে ॥ যাতায়াত করে কঙ্ক কেহ নাহি জানে ॥”

  • পুৰ্ব্ববঙ্গ গীতিকা” কঙ্ক ও লীলা—১ম খণ্ড, ২য় সংখ্যা, পৃ ২৩• ।