শাস্ত্রবিহিত উত্তরাধিকারিণী। অঙ্গ-অঙ্গ হইতে সম্ভূতা কন্যা তো মানুষের পক্ষে পুত্রেরই সমান। তাহার পিতৃধন কেন অন্যলোক হরণ করিবে?—
ভর্তুর্ধনহরী পত্নী তাং বিনা দুহিতা স্মৃতা।
অঙ্গাদঙ্গাৎ সম্ভবতি পুত্রবদ্ দুহিতা নৃণাম্।
তস্যাঃ পিতৃধনং ত্বন্যঃ কথং গৃহ্ণীত মানবঃ॥ পৃ ৪৫১-৪৫২
দুহিতা না থাকিলে দৌহিত্রেরা পাইবেন ইহাই বরদরাজের মত—
দুহিত্রভাবে দৌহিত্রাঃ গৃহ্ণীয়ুঃ। ঐ
পুত্র উপার্জন করিতে পারেন। পিতৃধন না পাইলেও তাঁহার চলে। কন্যার উপার্জনক্ষমতা বা ধন যদি না থাকে তবে পিতৃধন না পাইলে সমূহ বিপদের সম্ভাবনা। তাঁহার দাবি বরং বেশি। পতির জীবৎকালে স্ত্রীর অঙ্গে যে অলংকার থাকে তাহাতে পতিকুলস্থ লোকের কোনো দাবি নাই। দাবি করিলে তাঁহারা পতিত হন। মনুর এই মত বরদরাজ উদ্ধৃত করিয়াছেন—
পত্যৌ জীবতি যঃ স্ত্রীভিরলঙ্কারো ধৃতো ভবেৎ।
ন তং ভজেরন্ দায়াদাঃ ভজমানাঃ পতন্তি তে। পৃ ৪৬৮
ইহাতে কাত্যায়নের যে সমর্থন তাহাও এখানে উদ্ধৃত হইয়াছে—
স্ত্রীণাং ভর্র্তৃকুলাল্লব্ধং পিতুঃ কুলত এব বা।
ভূষণং ন বিভাজ্যং স্যাৎ জীবনে ন চ যোজয়েৎ। ঐ
পতির বা পিতার কুলের কাছে প্রাপ্ত সব অলংকারই স্ত্রীর নিজস্ব। জ্ঞাতিগণ তাহার দ্বারা সেই নারীর খোরপোশের দাবি মিটাইতে পারিবেন না।
আপস্তম্ব যদিও বলিয়াছেন, কেহ কেহ কিন্তু ভার্যার অলংকারকেও জ্ঞাতিধন বলেন—
অলঙ্কারো ভার্য্যায়া জ্ঞাতিধনং চেত্যেকে। পৃ ৪৬৯
এইখানে বরদরাজ নারদের মতের দ্বারা এই বৃথা দাবি নিরস্ত করিয়াছেন। নারদ বলেন, স্বামীর দ্বারা প্রীতিদত্ত অলংকার স্বামীর মৃত্যুর পরেও সম্পূর্ণভাবে স্ত্রীর। তাহারই ভোগ-ত্যাগের দানবিক্রয়ের পূর্ণাধিকার। কিন্তু স্থাবর সম্পত্তিতে স্ত্রীর দানবিক্রয়ের অধিকার নাই—
প্রীতিদত্তস্যালংকারস্য স্বত্বে প্রাপ্তে স্থাবরেঽপবাদমাহ নারদঃ
ভর্ত্রা প্রীতেন যদ্দত্তং স্ত্রিয়ৈ তস্মিন্ মৃতেঽপি তৎ।
সা যথাকামমশ্নীয়াৎ দদ্যাদ্ বা স্থাবরাদৃতে। ঐ