বৃত্তিরাভরণং শুল্কং লাভং চ স্ত্রীধনং ভবেৎ।
ভোক্ত্রী তৎস্বয়মেবেদং পতির্নার্হত্যনাপদি॥
বৃথা মোক্ষে চ ভোগে চ স্ত্রিয়ৈ দদ্যাৎ সবৃদ্ধিকম্।
পুত্রার্তিহরণে চাপি স্ত্রীধনং ভোক্তুর্মহতি॥ ঐ
এই বিষয়ে ইহার পরেও বরদরাজ (পৃ ৪৭০-৪৭১) নানাশাস্ত্রকারের মতামত উদ্ধৃত করিয়া স্ত্রীধনের বিষয়ে নানাদিক দিয়া বিচার করিয়াছেন।
স্ত্রী, কন্যা প্রভৃতি নারীদের অধিকার বিষয়ে বরদরাজ অতিশয় স্পষ্টভাবে নিজ মত ব্যক্ত করিয়াছেন। তিনি বলেন, পুত্র-পত্নী-কন্যাদের অসদ্ভাবেই আত্মীয়েরা ধন পাইতে পারেন, ইহাই শাস্ত্রকারগণের অনেকের মত—
যদিদং সংসৃষ্টিনো ধনগ্রহণমুক্তং তৎপুত্রপত্নীদুহিতৄণামভাবে ইতি কেচিৎ। পৃ ৪৭৬
বৃহস্পতির মতে, কেহ মারা গেলে বা প্রব্রজ্যা লইলে সে যদি অপুত্র ও অপত্নীক হয় তবেও তাহার ভাগ লুপ্ত হইবে না। সোদর ভাই তাহার ভাগ পাইবেন, ভগিনীও পাইবেন—
যা তস্য ভগিনী সা তু ততোঽংশং লব্ধুর্মহতি। ঐ
নারদবচনেও ইহা সমর্থিত (পৃ ৪৭৭)। বরদরাজ প্রাচীন শাস্ত্রকারদের মতামত আলোচনা করিয়া বলেন, ভার্যা না থাকিলেই আত্মীয়েরা ধনাধিকারী হইতে পারেন—
ভার্যাঽসদ্ভাব এব সংসৃষ্টিনো ধনগ্রহণমিতি গম্যতে। ঐ
যেসব স্মৃতিকার ‘যোষিৎ, বিধবা, নারী, স্ত্রী, ভার্যা’ প্রভৃতি শব্দ প্রয়োগ করিয়াছেন তাঁহারা স্ত্রীর জন্য ভরণপোষণমাত্র ব্যবস্থা করেন। আর যেসব স্মৃতিতে ‘পত্নী’ শব্দের প্রয়োগ, তাঁহারা সম্পূর্ণ দায়াধিকার পত্নীকেই দেন। ইহাই বৃদ্ধদের মত—
ইতি নারদবচনাৎ ভার্যাসদ্ভাব এব সংসৃষ্টিনো ধনগ্রহণমিতি গম্যতে।
সত্যম্, পত্নী দায়াযোগ্যা স্ত্রীষু নারদবচনমিত্যবিরোধঃ।
যাসু স্মৃতিষু যোষিদ্বিধবানারীস্ত্রীভার্যেত্যাদি শব্দ প্রয়োগঃ, তাসু তানাং ভরণমেব।
যাসু স্মৃতিযু পত্নীশব্দপ্রয়োগঃ তাসু দায়গ্রহণমিতি বৃদ্ধাঃ। ঐ
অর্থাৎ তখনকার দিনেও বৃদ্ধ শাস্ত্রকারদের জানা ছিল, একদল স্ত্রীর দায়াধিকার ভালো করিয়া না মানিলেও আর-একদল তাহা মানেন। যাঁহারা স্ত্রীদের