এবং প্রজা জনয়িতুরেবেতি নিশ্চিত্য তদিদং পুরা যমস্য সদনে জনয়িতুঃ পুত্রমব্রুবন্। (ঐ)
কিন্তু এখন আমার আর সেই মত নাই। এখন বুঝিতেছি সেই প্রথা ভালো নহে। কাজেই স্ত্রীগণের সঙ্গে যাহারা পতি না হইয়াও চরণ করেন তাঁহাদের আমি আর এখন সহিতে পারি না—
সম্প্রতি অহং নের্য্যামি ন সহে স্ত্রীণাং চরন্তং পুরুষং নের্য্যানি। ঐ
হে জনক, পূর্বে যে আমি ধর্মরাজ যমের ভবনে বলিয়াছিলাম যে, ঋষিগণ বলিয়াছেন জনয়িতারই সন্তান ক্ষেত্রস্বামীর অর্থাৎ জননীর পতির নহে—
হে জনক, পুরা যস্মাদ্ যমস্য ধর্মরাজস্য সদমে স্থানে বেশ্মনি জনয়িতুরেব পুত্রমব্রুবন্ ঋষয়ো, ন ক্ষেত্রিণ ইতি। (ঐ)
কিন্তু ধর্মরাজ যমরাজ সকাশে নিশ্চিত অর্থ তো মিথ্যা হইতে পারে না—
নহি যমরাজসকাশে নিশ্চিতোঽর্থো মিথ্যা ভবিতুমর্হতি। ঐ
ইহাই ঔপজঙ্ঘনি মুনির মত—
ইতি ঔপজঙ্ঘনের্মুনের্মতম্। ঐ
কাজেই দেখা গেল, ঔপজঙ্ঘনি পুরাতন ঋষিদের বাক্য এবং যমরাজার ভবনে তাঁহার নিজেরই পূর্বনিশ্চয় হইলেও পরক্ষেত্রে উৎপাদিত পুত্র জনয়িতারই হইবে পরে আর এই কথা পছন্দ করিতেছেন না। বোধায়ন-ধর্ম সূত্রে মূল সূত্রটি এই—
ইদানীমহমীর্য্যামি স্ত্রীণাং জনক নো পুরা
যতো যমস্য সদনে জনয়িতুঃ পুত্রমব্রুবম্। ঐ ২, ২,৩৪
বোধায়ন আরও বলেন, রেতোধা অর্থাৎ রেতঃসেকের দ্বারা উৎপাদনকারীই যমলোকে গিয়া পুত্র অর্থাৎ পুত্রকৃত্যের ফললাভ করে। তাই সকলে ভয়ে পররেতঃ হইতে ভার্যাকে রক্ষা করে——
রেতোধা পুত্রং নয়তি পরেত্য যমসাদনে।
তস্মাদ্ ভার্য্যাং রক্ষন্তি বিভ্যন্তঃ পররেতসঃ। ঐ ২.২, ৩৫
তাই জনক বলিলেন, অপ্রমত্ত হইয়া নিজ বংশধারা রক্ষা কর, তোমাদের ক্ষেত্রে পরকে বীজবপন করিতে দিও না। পরলোকে পুত্র যখন জনয়িতারই