হয় তখন যে এরূপে বীজ বপন করে সে বংশধারাকে ব্যর্থ অর্থাৎ ছিন্ন করিয়া দেয়—
অপ্রমত্তা রক্ষণ তস্তুমেতং
মা বঃ ক্ষেত্রে পরবীজানি বাপ্সুঃ
জনয়িতুঃ পুত্রো ভবতি সাম্পরায়ে
মোঘং বেত্তা কুরুতে তন্তুমেতমিতি। ঐ ২.২.৩৬
আপস্তম্ব-ধর্মসূত্রও বলেন, ব্রাহ্মণ বলেন পুত্র হইবে জনয়িতারই,—
উপপাদয়িতুঃ পুত্র ইতি হি ব্রাহ্মণম্। ঐ ২,১৩.৬
এখানে উদাহরণস্বরূপে বৈদিক বাণী বলিতেছেন, এতদিন ভাবিতাম যখন স্ত্রী আমার, তখন তাহার গর্ভে উৎপন্ন পুত্রও আমারই। যখন বিচারে দেখা গেল পুত্র হইবে উৎপাদনকারীর তখন এতদিন পর্যন্ত স্ত্রীগণের পরপুরুষ-সংসর্গ সহিয়া থাকিলেও এখন আর আমি স্ত্রীগণের পরপুরুষ-সংসর্গ সহিতে পারিব না। কারণ ধর্মজ্ঞেরা বলিতেছেন, যমসাদনে পুত্র জনয়িতারই হইবে (উজ্জ্বলাকার হরদত্তকৃত ব্যাখ্যা)। মূল আপস্তম্ব বাণীও দেওয়া যাউক, অত্রাপ্যুদাহরন্তি।
ইদানীমেবাহং জনকঃ স্ত্রীণামীর্য্যামি নো পুরা।
যদা যমসা সাদনে জনয়িতুঃ পুত্রমব্রুবন্। ঐ
তারপর বোধায়নের মতই আপস্তম্ব ধর্মসূত্রেও আছে—
রেতোধাঃ পুত্রং নয়তি। ঐ
এবং
অপ্রমত্তা রক্ষথ তন্তুমেতম্। ঐ
ইহাতে বুঝা যায়, বিবাহ প্রথা প্রতিষ্ঠিত হইবার পরেও বহুকাল পরপুরুষসঙ্গমে কোনো বাধা স্ত্রীগণের ছিল না। জনক ঔপজঙ্ঘনি প্রভৃতি বহু ঋষি মুনিগণের বহুকাল ধরিয়া বহু চেষ্টায় সেইসব প্রথা ক্রমে সংযত হইয়া আসে। আজও তাহা সম্পূর্ণ দূরীভূত হয় নাই, কোনো দেশেই বা কোনো কালেই তাহা হয় না।
নঞ্জুন দায়্যা এবং অনন্তকৃষ্ণ আইয়ার বলেন, বৃহস্পতি-স্মৃতিতেও এইরূপ শৈথিল্যের প্রাচীনতার কথা জানা যায়।[১]
ছান্দোগ্য উপনিষদে (৪.৪. ১) ঋষি সত্যকামকে তাহার মাতা জবালা
- ↑ বৃহস্পতি ২, ৩০; Mysore Tribes and Castes, vol. II, p. 36