(২. ১২৯)। আপস্তম্ব-ধর্মসূত্র (১. ৪. ১৪. ১৮) বলেন, পতির বয়স অনুসারেই নারীদের সম্মান দেখানো উচিত—
পতিবয়সঃ স্ত্রিয়ঃ।
গুরুপত্নীকে ও গুরুর পুত্রবধূদের প্রতিও সম্মান দেখানো বিহিত ছিল।[১] সম্পর্কের কথা ছাড়িয়াও নারীকে সম্মান করা উচিত। তাই মনু (৩. ৫৫) বলেন, পিতা পতি দেবর ভ্রাতা সকলেই নারীকে সম্মান দেখাইবেন। মনু নারীকে সম্মান দিতে বলিলেও স্বাধীনতা দিতে বলিতে পারেন নাই। বাল্যকালে নারী পিতার অধীন, যৌবনে পতির অধীন, বৃদ্ধকালে পুত্রের অধীন। স্বাধীন সে কখনই নয় (মনু ৯.৩)। কারণ নারীরা সহজেই নষ্ট হয় (ঐ ৯, ৫-২০)। দক্ষস্মৃতির (৪. ৮-৯) কথা আরও সাঙ্ঘাতিক।
বৈদিক যুগে কিন্তু নারীরা সকলের সঙ্গে সভা প্রভৃতিতে যোগদান করিতে পারিতেন। ঋগ্বেদে (১.১৬৭.৩) দেখি—
যোষো সভাবতী বিদথ্যেব সং বাক্।
সেই বাণী সভা ও বিদ্বজ্জনের উপযুক্তা নারীর মত।
ঋগ্বেদের দশম মণ্ডলে (৮৫. ২৬-২৭) নববধূকে ‘বিদথম্ আ বদাসি’ এবং ‘বিদথম্ আ বদাথঃ’ বলায় বুঝা যায়, যজ্ঞের ও উচ্চ জ্ঞানের উপযুক্ত ভাষা নারীদের ছিল। বিবাহকালে নিকটে আসিয়া সুমঙ্গলী বধূকে দেখিয়া আশীর্বাদ দিবার প্রার্থনা দেখিতে পাই (ঐ ৮৫. ৩৩)। পরবর্তীযুগে রাজবধুরা হয়ত ক্রমে সভা হইতে অন্তঃপুরে আশ্রয় লইলেন, তাহা বুঝা যায় পাণিনির গ্রন্থে (৩.২.৩৬)। এইখানে মহাভাষ্যও দেখা যাইতে পারে।[২] কাত্যায়ন-শ্রৌতসূত্রে (৩.৭.১১) ও শতপথ-ব্রাহ্মণে (১.৭.৩.১২) যে ‘অন্তর্ধান’ আছে, তাহা পত্নী সংযাজ যাগের একটি আচার বিশেষ।
বৌদ্ধদের গ্রন্থেও নারীদের অবরোধের কথা মাঝে মাঝে সূচিত হয় (ধম্মপদত্থ কথা), কিন্তু তাহা রাজরাজড়াদের ঘরের নারীদের বিষয়ে। রাজপথ দিয়া খোলা রথে বিশাখা পতিগৃহে যান
রামায়ণেও আছে, যজ্ঞে বিবাহে স্বয়ংবরে যুদ্ধে ও ব্যসনে নারীদের