পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/২৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন্মুক্তি ミQ> কত দেবদেবীর স্তবাদি রচনা করিয়াছিলেন। মোহমুদগর, বিজ্ঞানভিক্ষু, আত্মবোধ, মণিরত্নমালা, অপরোক্ষামুভূতি, বিবেক চূড়ামণি, উপদেশ সহস্রী, সৰ্ব্ববেদান্ত সিদ্ধান্ত সারসংগ্রহ প্রভৃতি গ্রন্থগুলি পৃথিবীর সর্বত্র আদৃত হইয় তাহার অক্ষয়কীৰ্ত্তি ঘোষণা করিতেছে। পাঠক ! একজনের বত্রিশ বৎসর আয়ুষ্কাল মধ্যে এরূপ কৰ্ম্মময় জীবন অার কাহারও দেথিয়াছ কি ?—ভাবিতে গেলে আমাদের ক্ষুদ্র মস্তিষ্ক আলোড়িত হইয়া যাইবে । তাই বুঝি আজি ভারতের আবাল-বৃদ্ধ-বনিতার কণ্ঠে শঙ্করের সুমহান নাম সমস্বরে উচ্চারিত হয়। ভারতের অন্যান্য প্রচারকগণ আপন দেশের গণ্ডী ছাড়াইয়। কোন সময়ে অন্ত দেশের সাধারণ লোকের হৃদয় অধিকার করিবার সুযোগ ও সৌভাগ্য লাভ করিতে পারেন নাই । কিন্তু শঙ্করাচার্য্য সাক্ষাৎ শঙ্কররূপে ভারতের ঘরে ঘরে পূজিত হইতেছেন । তবে আসাম ও বঙ্গবাসীর মধ্যে অনেকেই ভগবান শঙ্করাচার্য্যের মহিমা বুঝিবার সুযোগ পান নাই। যে দেশের লোক ভগবান বুদ্ধদেবকে বিষ্ণুর নবম অবতার জানিয়াও হৃদয়ের শ্রদ্ধা-ভক্তির পরিবর্তে “বেদবিরোধী নাস্তিক’ বলিয়া ঘৃণা করে, তাহারা যে শঙ্করাচার্য্যকেও “প্রচ্ছন্ন বুদ্ধ” বলিয়া নাসিক কুঞ্চিত করিবে, তাহার আর বিচিত্র কি ? আবার বঙ্গের এক সম্প্রদায় স্বকপোলকল্পিত কাহিনী রচিয়া বলিয়া থাকে ; “যখন ভগবান দেখিলেন যে ভারতের সমগ্র লোক ধৰ্ম্মবলে উদ্ধার হইয়া যাইতেছে, তখন শিবকে শঙ্করাচার্য্যরূপে অবতীর্ণ হইয়া মানবসমাজকে বিপথে পরিচালনা করিতে তিনি আদেশ করেন, তাই শঙ্করাচার্য্যের আবির্ভাব ।” বলিহারি যুক্তি ! এ যুক্তির বালাই লইয়া মরিতে ইচ্ছা করে । এরূপ কাহিনী প্রচারে শঙ্করাচার্য্যের অদৃষ্টে যাহাঁই ঘটুক, কিন্তু ভগবানের দেয়াময়" নামের যে সপিণ্ডীকরণ হইয়া গেল-ব্রাহ্মণের গায়লী-মন্ত্রের অর্থ যে ব্যর্থ হহঁয়া গেল, তাহ সম্প্রদায়ান্ধগণ ভক্ত ও পণ্ডিত হইয়াও বুঝিতে