পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৌদর শীর জমিদার বংশ । বনবাগত মালিক মহাশয়ের সহিত সাক্ষাৎ ও আলাপ করিয়া উহাদেৱ মনে কেমন একটী ভাবের উদয় হইল। নীলকণ্ঠবাবু কেৰল কৰ্ম্মচারীদিগের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া ক্ষান্ত হইলেন না । মহলে শহলে প্ৰজাবৃন্দকে সাক্ষাৎ করার জন্য ঘোষণা করা হইল। প্ৰজাগণ সংবাদ পাইয়া যথাসময়ে সাক্ষাৎ করিতে লাগিল । তাহদের সহিত ”যথাযোগ্যভাবে মিষ্ট আলাপ করিয়া বিদায় করিলেন বটে, কিন্তু আলাপ কালে তঁহার শরীরস্থ তেজস্বিতার তড়িৎ তাহদের হৃদয়ে পুরিয়া “দিতেন ; সুতরাং সাক্ষাৎ আলাপে প্ৰত্যেকের মনেই যেন একটা ভয়“ভীতির সঞ্চার হইত। অল্পদিন মধ্যেই কৰ্ম্মচারীদিগের ও প্ৰজাবৃন্দের DDD DDuuDuDBB BBiB BDBDB BBD S DDDDBB DBDB DBB ‘গোপন রাখিয়া কাজ করিতে বিশেষ অভ্যন্ত ছিলেন । তিনি প্ৰথমে আমলাগণের সহিত মিশিয়া কাজকৰ্ম্ম শিক্ষা করিতে লাগিলেন এবং সদর মফঃস্বলের আভ্যন্তরিক অবস্থার গোপন সন্ধান লাইতে লাগিলেন । আমলাগণ র্তাহার এই গুঢ় অভিসন্ধি বুঝিতে না পারিয়া পূর্ববৎ ভাবেই কাজকৰ্ম্ম করিতে লাগিলেন। অন্যান্য মালিকগণ তথায় গিয়া পুর্ববৎ নিজ নিজ কাজ কৰ্ম্ম করিয়া বাড়ী ফিরিলেন, কিন্তু নীলকণ্ঠ বাবু আর বাড়ী ফিরিলেন না । তিনি বৎসরকাল সেখানে থাকিয়া তথাকার সমুদয় সন্ধান লইয়া বাড়ী ফিরিলেন । তথাকার কৰ্ম্মচারীরা বেশ বুৰিয়াছিলেন যে, নীলকণ্ঠ বাবু ভস্মাচ্ছাদিত বহি, সুযোগ পাইলেই জলিয়া উঠিবেন। এই ভয়ে কৰ্ম্মচারীদিগের মধ্যে একটা আতঙ্ক উপস্থিত হইয়াছিল তাহাতে বিন্দুমাত্ৰ সন্দেহ নাই। নীলকণ্ঠ বাবু এতদিন আত্মগোপন করিয়া নানাপ্রকার অনুসন্ধান করিয়া সকল বিষয় সংগ্ৰহ করিতেছিলেন, তাহ কেহই বুঝিতে পারেন নাই। কৰ্ম্মচারিগণ এতদিন “অনুকুল বায়ুতে পাল তুলিয়া নিশ্চিন্ত ছিলেন, এখন বাতাস ঘুরিয়াছেঃ স্বস্তুতরাং ত্যাহারা উপায়হীন অবস্থায় বিশেষ চিন্তান্বিত হইয়াছিলেন ।