পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্র ও দীনবন্ধু , ፃ¢ লোক হইয় পড়িবে ; সন্ন্যাসীর প্রভাব তাহার মন,হইতে একেবারে তিরোহিত হইবে।” ভাবগতিকে বুঝিলাম, বঙ্কিমচন্দ্রের এ কথা মনোগত হইল না। দীনবন্ধু কোনও মতামত প্রকাশ করিলেন না। ইহার পর দুই বৎসরের মধ্যে “কপালকুণ্ডলা” প্রকাশিত হইল । বঙ্কিমচন্দ্র এই কাপালিক-প্রতিপালিত কন্যাকে সমুদ্রতটবিহারিণী, বনচারিণী, স্বষ্টিছাড়া এক অপূৰ্ব্ব মধুর প্রকৃতির মোহিনী মুক্তিরূপে অঙ্কিত করিয়া গিয়াছেন। “বঙ্গদর্শনে” “বিদায়” প্রবন্ধে বঙ্কিমচন্দ্র লিখিয়াছেন—“দীনবন্ধু আমার সাহিত্যের সহায়, সংসারের মুখদু:খের ভাগী।” লিখিবার অবসর পাইলে দীনবন্ধুও নিশ্চয়ই ঐ কথাই বলিতেন। আমি পূৰ্ব্বে বলিয়াছি যে, যশোহরে ইহাদের প্রথম চাক্ষুষ আলাপের পর ই হারা প্রবীণ লেখকের ন্যায় কলম ধরিলেন ; উভয়ে যেন পরামর্শ করিয়া লিখিতে বসিলেন । ফলতঃ, বঙ্কিমচন্দ্রের প্রথম তিনখানি পুস্তক, “দুর্গেশনন্দিনী", "কপালকুণ্ডল” ও “মৃণালিনী” দীনবন্ধুর মতামত লইয়া প্রচারিত হইয়াছিল। “বিষবৃক্ষ”-প্রচারের কিঞ্চিৎ পূৰ্ব্বে কি সেই সময়ে দীনবন্ধুর মৃত্যু হয়। দীনবন্ধুর সমস্ত পুস্তক বঙ্কিমচন্দ্রের মতামত লইয়া প্রচারিত হইয়াছিল। “বিয়ে পাগল বুড়ো” পুস্তকখানির প্রচার করিতে বঙ্কিমচন্দ্র নিষেধ করিয়াছিলেন, সে জন্ত উহা অনেক দিবস অপ্রকাশিত ছিল। বঙ্কিমচন্দ্ৰ-লিখিত দীনবন্ধু-জীবনীতেও উহার উল্লেখ আছে। দীনবন্ধুর ‘লীলাবতী’তে বঙ্কিমচন্দ্র স্থানে স্থানে লিখিয়াছিলেন, বন্ধুত্বহিসাবে, আমোদ করিয়া লিখিয়াছিলেন ; কিন্তু হাস্যরসে