পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্র ও দীনবন্ধু bᏅ☾ নীলদর্পণ-প্রচারে পাওয়া যায়। এ ত গেল একটা গুরুতর উদাহরণ। কিন্তু অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঘটনাতে সৰ্ব্বদা উহার পরিচয় পাওয়া যাইত। যে ঘটনা অন্তের পক্ষে রহস্যজনক, দীনবন্ধুর উহা কষ্টকর বোধ হইত। এক জন মাতাল ট’লে টলে থানায় পড়িতেছে, লোকে দাড়াইয়া তামাসা দেখিতেছে, হাসিতেছে ; কিন্তু দীনবন্ধু তৎক্ষণাং দৌড়াইয়া গিয়া তাহার সাহায্য করিলেন । এই গুণটি বঙ্কিমচন্দ্রেরও ছিল । দীনবন্ধুর সম্বন্ধে একটি ঘটনা, যাহা আমি স্বচক্ষে দেখিয়াছি, তাহা এখানে বলিব । বহুকাল হইল, সপ্তমী কি অষ্টমী পূজার রাত্রিতে, দীনবন্ধু, কাৰ্ত্তিকেয়চন্দ্র রায় ( দ্বিজেন্দ্রলালের পিতা ) ও আমি নৈহাট ষ্টেশন হইতে প্রশস্ত বারাকপুর ফাডার রোড দিয়া বাটী আসিতেছিলাম। ষ্টেশন হইতে প্রায় এক বিঘা পথ অন্তরে রাস্তার পশ্চিম দিকের ড়েণে একটা ধবল পদার্থ দেখিলাম। মেটে মেটে জ্যোৎস্না, ভাল বুঝিতে পারিলাম না, এই ধবল পদার্থটি কি ? উহা মাঝে মাঝে নড়ায়, প্রথমে বোধ হইল, একটা গরু ড়েণে পড়িয়া উঠিতে পারিতেছে না। কিন্তু নিকটস্থ হইয়া দেখিলাম, উহা গরু নয়, একটা বাবু মাতাল ড়েণে পড়িয়া রছিয়াছে। আমরা তিন জনে তাহাকে ধরিয়া তুলিয়া দেখিলাম, একটা নবীন যুৱা, পরিপাটা বেশবিদ্যাস, কিন্তু খানায় পড়িয়া উহ। বিশৃঙ্খল হইয়া,পডিয়াছে। তিনি আমাদের তিন জনেরই অপরিচিত। দীনবন্ধুর জিজ্ঞাসায় মাতাল বাবু বলিলেন, তিনি কলিকাতা হইতে শ্বশুরবাড়ী আসিতেছিলেন। ষ্টেশনের বাবুদের সহিত গুড়ীর দোকানে মদ খাইয়া শ্বশুরবাটী যাইতে যাইতে খানায় পড়িয়া