পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বন্ধুবৎসল বঙ্কিমচন্দ্র > o q বঙ্গদর্শনের গ্রাহক হইলাম। বঙ্গদর্শনে “বিষবৃক্ষ প্রকাশিত হয়। কয়েকটি অধ্যায় প্রকাশিত হইলে পর, আমাদের দেশের এক শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি ‘বঙ্গদর্শনে’র প্রসঙ্গে অতিশয় ক্রোধ, বিরক্তি ও অবজ্ঞাব্যঞ্জক স্বরে আমার কাছে বলিয়াছিলেন—“ঐ আবার ‘কুন্দনন্দিনী একটা কি বাহির হইতেছে ?” তেমন লোকের মুখে ওরূপ কথা শুনিয়া আমার মনঃকষ্ট গুইয়াছিল—সে মনঃকষ্ট এখনও যায় নাই, বোধ হয় কখনও যাইবে না। বঙ্গদর্শন পড়িয়া যাহা বুঝিয়াছিলাম, উহা পড়িবার পূৰ্ব্বে তাহা বুঝি নাই। বুঝিয়াছিলাম যে, বাঙ্গলা ভাষায় সকল প্রকার কথাই সুন্দরক্সপে বলিতে পারা যায় ; আর বুঝিয়াছিলাম যে ভাষা বা সাহিত্যের দারিদ্র্যের অর্থ মানুষের অভাব। বঙ্গদর্শন বলিয়া দিয়াছিল বঙ্গে মানুষ আসিয়াছে—বাঙ্গালী সাহিত্যে প্রতিভা প্রবেশ করিয়াছে । তখনও কিন্তু আমি বঙ্কিমবাবুকে দেখি নাই। না দেখিলে সকলে যাহা করিয়া থাকে, আমিও তাহা করিতাম। মনে মনে তাহার মূৰ্ত্তি কল্পনা করিতাম। তাহাকে দেখিয়াছিলেন এমন কেহ কেহ আমায় বলিতেন, বঙ্কিমের চেহারায় বুদ্ধি যেন ফাটিয়া বাহির হইতেছে । আমিও প্রাণপণে মূৰ্ত্তি কল্পনা করিতাম। কিন্তু তাহাকে যখন দেখিলাম, তখন আমার কল্পিত মূৰ্ত্তি লজ্জায় কোথায় লুকাইয়া পড়িল তাঙ্গর ঠিকানা রহিল না। ২২ কি ২৩ বৎসর হইল কলেজ রি-ইউনিয়ন’ নামে ইংরাজীওয়ালাদের একট বাৎসরিক উৎসব হইত। সকল কলেজের পুরাতন ও নব্য ছাত্রেরা বৎসরে একদিন কলিকাতার নিকটস্থ একটা বাগান