পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বন্ধুবৎসল বঙ্কিমচন্দ্র s') ) গোবিন্দ অধিকারীর যাত্র হইতেছে এবং পূজার দালানের প্রশস্ত রোয়াকে সমস্ত সমবেত শোতৃবর্গের মাথায় উপরে আপন মস্তক প্রায় অৰ্দ্ধহস্ত উত্তোলিত করিয়া এক দীর্ঘকায় বিশালবপু বলিষ্ঠ বৃদ্ধ বসিয়া আছেন। দুর্গারাম বলিলেন, ‘উনিই বঙ্কিমবাবুর পিতা, রায় যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বাহাদুর ' আবার মন সন্ত্রমে পরিপূর্ণ হইয়া উঠিল। বঙ্কিমবাবু এবং র্তাহার সহোদরদিগকে বড় পিতৃভক্ত দেখিয়াছি—সকলেই যেন এইভাবে বিভোর—“আমাদের পিতা অসাধারণ শক্তি ও মহত্ত্ব স্বরূপ আবিভূত হইয়াছেন।” - . প্রাঙ্গণ বা পূজার দালানে বঙ্কিমবাবুকে দেখিতে নাপাইয়া এক জন ভৃত্যকে জিজ্ঞাসা করিলাম, তিনি কোথায় ? ভূত্য বাহিরের একটি ক্ষুদ্র গৃহ দেখাইয়া দিল। গৃহটি একতাল, চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ুদিগের শিবের মন্দিরের দক্ষিণ পার্থে। উহা বঙ্কিমবাবুর নিজের বৈঠকখানা, মুন্দর, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, যেমন আপনি ছিলেন তেমনই। অধ্যয়নের সুবিধার জন্ত এবং অপূৰ্ব্ব লেখা লিখিবার ও বন্ধুদিগের সহিত অকৃত্রিম অপরিমেয় আলাপ করিবার উপযোগী নিভৃততার জন্ত ঐ গৃহটি বঙ্কিমবাবুর বড়ই প্রিয় ছিল। উহা এখন সাহিত্যসেবীদিগের পীঠস্থান হইয়াছে। পীঠস্থানের বর্তমান অবস্থা কিরূপ জানি না । অনেক দিন তথায় যাই নাই। বড় আশা আছে, উহা বঙ্কিমচন্দ্রের প্রিয়তম দৌহিত্র দিব্যেন্দুম্বন্দরের পরম স্থান হইবে। ঐ ক্ষুদ্র গৃহে গিয়া দেখিলাম, বঙ্কিমচন্দ্র পুস্তক পাঠ