পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$8 e - বঙ্কিম-প্রসঙ্গ এক সীমায় প্ল্যারীচঁাদ মিত্রের আলালের ঘরের দুলাল। ইহার কেহই আদর্শ-ভাষায় রচিত নয়। কিন্তু আলালের ঘরের দুলালের পর হইতে বাঙ্গালী লেখক জানিতে পারিল যে, এই উভয় জাতীয় ভাষার উপযুক্ত সমাবেশ দ্বারা এবং বিষয়ভেদে একের প্রবলত ও অপরের অল্পত দ্বারা, আদর্শ বাঙ্গল গদ্যে উপস্থিত হওয়া যায়।” দুর্গেশনন্দিনী, কপালকুণ্ডল লিখিবার সময় বঙ্কিমবাবু যে সম্যক প্রকারে এই সত্য উপলব্ধি করিতে পারিয়াছিলেন, এমন আমার বোধ হয় না। র্তাহার ভাষার “লম্ফত্যাগ”, “নিদ্রাগমন” প্রভৃতি সমস্ত পদ লইয়া কায়স্থকুলভূষণ রাজেন্দ্রলাল মিত্র “বিবিধার্থসংগ্রহে” বিদ্রপাত্মিক সমালোচনা করিয়াছিলেন । আর কায়স্থকুলাধম আমি ভাষার একান্ত সংস্কৃতানুসারিণী ভক্তি লইয়া বঙ্কিমবাবুর সহিত বিচার বিতর্ক করিয়াছি। মৃচ্ছকটিক নাটকে দেখিবেন, প্রাঢ় বিবাকের পাশ্বের্ণপবিষ্ট কায়স্থ প্রাক্লত্তে কথা কহিতেছেন। কালীপ্রসন্ন সিংহ হউন, দীনবন্ধু হউন, প্যারীচাদ হউন, আর রাজেন্দ্রলালই হউন, আমাদের প্রাকৃতের দিকে একটু টান আছে। আমরা বুঝি ধৰ্ম্মকাৰ্য্যে, প্রত্নতত্ত্বে, ছটাছন্দবিভূষিত কবিতার, সেই কবিতার লালিত্যে ও মাধুর্যে সংস্কৃতের প্রয়োজন। সংস্কৃত আমাদের গুরুজন । কিন্তু গুরুজন লইয়া ত ংসার হয় না। প্রধানতঃ পুত্র কলত্র, দাসদাসী, বন্ধুবান্ধব, এই সকল লইয়াই ত সংসার। এ সকল ত সংস্কৃত নয়, প্রাক্কত। তু বলিয়া কেবল বিষয়কাৰ্য্যের জন্ত প্রাকৃত বা বাঙ্গলার প্রয়োজন, এমন নহে। জীবন্ত কাব্যের বাঙ্গালাইজান, অর্থাৎ প্রাণ ।