পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্র কাটালপাড়ায় S8จ সাজ দেখিবার ইচ্ছা, সে সেই দিন আসিয় তাহা দেখিয়া,যায়ু, তা ছাড়া ঘরটিকেও বেশ করিয়া ফুলের মালাটাল দিয়া সাজান হয়। এই ঘরের সামনে একখানি প্রকাণ্ড আটচালা, চারি দিক্‌ খোলা, গুটিকতক সেঁকা থামের উপর দাড়াইয়া আছে। চালখানি আগে খড় দিয়া ছাওয়া হইত, এখন গোলপাতা দিয়া ছাওয়া হয়। এই আটচালায় রথের সময় যাত্রা, নাচ, গান, কীৰ্ত্তন প্রভৃতি হইত। এখন দুই একদিন যাত্রা হয় মাত্র, আগে আট দিনই খুব জমজমাট থাকিত। আটচালার পশ্চিমে একটি শিবমন্দির, পাথরের শিবলিঙ্গ, নিত্য পূজার ব্যবস্থা আছে। মন্দিরটির দক্ষিণ দিকে বঙ্কিমবাবুর বসিবার ঘর ও পশ্চিম দিকে একটি ঘর, তাহাকে বঙ্কিমবাবু আদর করিয়া তোষাখানা বলিতেন । সেখানে তামাক খাওয়ার সরঞ্জাম থাকিত ;. হুক, কলিকা, বৈঠক, ফার্স, গড়গড়, তামাক, টিকা, গুল, আগুন, শেলাই ইত্যাদি ইত্যাদি। সে ঘরের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা বান্ধীবাবুর চাকর, নাম মুরলী। মুরলীর গলায় তুলসীর মালা, কিন্তু সে যে বিশেষ বৈষ্ণব ভক্ত, তাহ আমরা দেখি নাই। দক্ষিণ দিকে শিবমন্দির-সংলগ্ন একটি বড় দালান, উহার পূর্বদিকে দুটি দরজ একেবারে খোলা জমীতে পড়িয়াছে, আর পশ্চিম দিকে দুইটি জানালা, ঘরটি পূর্ব-পশ্চিমে লম্বা। এই ঘরের দক্ষিণে দুটি ঘর। দালানটি যতখানি লম্বা, ঘর দুটিও ততথানি লম্বা। পশ্চিমের ঘরটিতে একখানি খাট থাকিত, পূবের ঘরটিতে একটি ফরাস থাকত। পশ্চিমের বরটিতে বঙ্কিমবাবু দিনের বেলায় গুইতেন, পূবের ঘরটিতে এক বসিয়া লেখাপড়া করিতেন,দুই এক জন বিশেষ আত্মীরেরও সেখানে