পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্র কাটালপাড়ায় - '8సె টকে বড়ই ভালবাসিতেন, যতদিন তিনি বাড়ী থাকিতেন, বাগানটী খুব সাবধানে পরিষ্কার রাখিতেন, এবং মাঝে মাঝে অবসর পাইলে আলসেটিতে হেলান দিয়া বেঞ্চির উপর বসিয়া ফুলের বাহার দেখিতেন। - আমরা বালককালে প্রতিবৎসরই রথ দেখিতে যাইতাম। রেলওয়ের গেট হইতে শিবের মন্দির পর্য্যন্ত দুইধারে অনেকগুলি কামিনীফুলের গাছ ছিল । আমরা প্রায়ই ফুল ছিড়িতাম। ফুল ছিড়িলেই কেহ না কেহ আসিয়া আমাদিগকে ভয় দেখাইত, “তোমাদিগকে ধরিয়া সঞ্জাববাবুর কাছে লইয়া যাইব ।” সঞ্জীববাবু আমাদিগকে কি শাস্তি দিতেন, জানিতাম না, কিন্তু সেই অবধি, আমরা জানিতাম যে, শ্ৰীযুক্ত যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রায় বাহাদুর মহাশয়ের পুত্রের বড় দুষ্ট লোক, ছেলে-পিলে ধরিয়া মারেন, সেই ভয়ে আমরা অনেকবার সুযোগ হইলেও রায়বাহাদুরের বাড়ী মড় একটা যাইতাম না! একবার ধরণী কথকের কথা হইয়াছিল। তখন আমার বয়স বছর এগার, টোলে পড়িতাম। টোলের ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়ের সঙ্গে চার দিন ধরণীকখকের কথা শুনিতে গিয়াছিলাম। রায়বাহাদুরের বাহিরবাড়ীর পাচফুকরে দালানের সামনে যে উঠান আছে, সেই উঠানে কথা হইত। কখকের জন্ত যেমন সব জায়গায়, ইটের বেদী হয়, এ বাড়ীতে তাহ হয় নাই। একথানা বড় চৌকি ও একটা বড় তাকিয় বেদীর কাজ করিত। ঐ বেদীর উপর একখানি ভাল গালিচা পাঙ্গ থাকিত। সামনে একটি বড় টিপারে উপর একখানি পিতলের সিংহাসনে শালগ্রাম থাকিতেন, তিনি