পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্র কাটালপাড়ায় )( ) মহেশচন্দ্র স্থায়রত্ন মহাশয় আমায় ডাকিয়া বলিলেন, "তুমিও চেষ্টা কর । কলেজের অনেক ছাত্রই চেষ্টা করিতে লাগিল। ১৮৭৫ খৃষ্টাব্দের প্রথমেই ‘এসে দাখিল করা হইল। পরীক্ষক হইলেন মহেশচন্দ্র ন্যাস্ত্ররত্ন মহাশয়, গিরিশচন্দ্র বিদ্যারত্ন মহাশয় ও বাবু উমেশচন্দ্র বটব্যাল। লিখিতে এক বৎসর লাগিয়াছিল, পরীক্ষা করিতেও এক বৎসরের বেশীই লাগিয়াছিল। ছিয়াত্তর খৃষ্টাব্দের প্রথমে আমি.বি, এ পাস করিলাম ; উমেশবাবুও প্রেমচাঁদ রায়চাদ স্কলারশিপ পাইলেন। প্রিন্সিপাল প্রসন্নবাবু মনে করিলেন, সংস্কৃত কলেজের বেশ ভাল ফল হইয়াছে, সুতরাং তখনকার বাঙ্গালার লেপ্টেনাণ্ট গবর্ণর সার রিচার্ড টেম্পলকে আনিয়া প্রাইজ দিলেন। সেই দিন শুনিলাম, রচনার পুরস্কার আমিই পাইব। সার রিচার্ড আমাকে একখানি চেক্ দিলেন, এবং কতকগুলি বেশ মিষ্ট কথা বলিলেন । আমার মনে এক নূতন ভাবের উদয় হইল। সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপক মহাশয়েরা যে রচনা ভাল বলিয়াছেন, এবং গবর্ণর সাহেব যাহার জন্ত আমায় এতগুলি মিষ্ট কথা বলিয়া গেলেন, সেইখানি ছাপাইয়া দিয়া আমি কেন না একজন গ্রন্থকার হই? তাহার পর ভাবিলাম, এম এ ক্লাস পর্য্যন্ত ত একরকম স্কলারশিপেই চলিয়া যাইবে। তাহার পর হঠাৎ কিছু আর চাকরী পাওয়া যাইবে, না । তখন প্রাইজের ঐ ক'টি টাকাই আমার ভরসা। অতএব বই ছাপাই ঐ কট টাকা শুরু করা হইবে না । তখন অনেক ভাবিয়া চিন্তিয় ঐযুক্ত বাৰু যোগেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বিদ্যাভূষণ