পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্র Xసిఁ থাকিতে পারিতেন না। দুই পাঁচ মিনিট যদি কখন তুহার দেরী হইত, অমনই চাকরাণী আসিত । - বাঙ্গালা ১২৮৪ সালে কায় বদল করিয়া “বঙ্গদর্শন” আবার বাহির হইলেন। এবার সম্পাদক হইলেন র্তাহার মেজ দাদা, সঞ্জীব বাবু। কিন্তু লেখার ভার, অনেকটা তাহার উপরেই রহিল। তিনি আমাকে লিখিতে সৰ্ব্বদা উৎসাহ দিতেন। বঙ্কিম বাবুর উপর তখন আমার এরূপ টান যে, প্রতি মাসেই তাহাকে এক একটি প্রবন্ধ লিথিয়া দিতাম। প্রবন্ধ লিখিয়া নাম করিব, এ মতলব আমার একেবারেই ছিল না, সে জন্ত কখনও প্রবন্ধে নাম সহি করিতাম না। একটা ইচ্ছা ছিল—হাত পাকাইব, আর এক ইচ্ছা—বঙ্কিম বাবুকে খুনী করিব। তিনি যদি কখন কোন প্রবন্ধের প্রশংসা করিতেন, তাহাতে হাতে স্বর্গ পাইতাম । অপ্রশংসা করা বা গালি দেওয়া, কখনও তিনি করেন নাই । যে বার কিছু বলিতেন না, বুঝিতাম, লেখাটা ভাল হয় নাই। সেবার চেষ্টা করিয়া জেরা করিয়া প্রবন্ধ সম্বন্ধে তাহার মনের ভাব, বুঝিয়া লইতে চেষ্টা করিতাম । দুই বৎসর এরূপ গেলে, আমায় এক বৎসরের জন্ত লক্ষে যাইতে হইল। সেখান হইতেও আমি প্রায়ই লেখা পাঠাইয়া দিতাম। কিন্তু বঙ্কিম বাবুর মতামত কিছুই গুনিতে পাইতাম না। তিনি আমাকে চিঠিপত্র দিতেন না, আমিও তাঁহাকে বড় একটা চিঠিপত্র দিতাম না। এক বৎসর পরে ফিরিয়া আসিয়া দেখি, বঙ্কিম বাৰু চুচুড়ার ঘোড়াঘাটের উপর বাসা করিয়াছেন। “বঙ্গদর্শন"