পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

›ፃ8 বঙ্কিম-প্রসঙ্গ যখন বঙ্কিমচন্দ্র সৌন্দৰ্য্যস্থষ্টিকে.লোকশিক্ষার দাসী করিতে উদ্যত হইলেন, আমি তাহাতে রাজী হই নাই। আমি বলিয়াছিলাম, চরম সৌন্দৰ্য্য, পরম সৌন্দৰ্য্য, অথবা সৌন্দর্ঘ্যের যাহাকে পরাকাষ্ঠী বলে, তাহাই চরম ধৰ্ম্ম, তাহাই পরম ধৰ্ম্ম। সুতরাং সৌন্দৰ্য্যস্থষ্টির সঙ্গে সঙ্গে ধৰ্ম্ম প্রচার করিয়া দুই জিনিসই নষ্ট করা, দুটা জিনিসকেই পারমিতা প্রাপ্ত হইতে না দেওয়া বিশেষ দোষের কথা হইবে। আমি বলিয়াছিলাম, কালিদাস কোথাও ধৰ্ম্মপ্রচার করেন নাই, কিন্তু তাহার মত হিন্দুধৰ্ম্মের প্রচারকও বিরল। কিন্তু বঙ্কিমবাবু আমাকে over-rule করিলেন। আমিও দেখিলাম, হয় ত দেশ কাল ও পাত্র বিবেচনা করিলে বঙ্কিমবাবুর কথাই সত্য হইতে পারে। তিনি আপনার মতেই তিন চারিখানি নভেল লিখিয়া ফেলিলেন। শুদ্ধ সৌন্দর্য্যবাদীরা তাহাতে এক একবার নাক সিটকাইলেও দেশগুদ্ধ লোকেই তাহার অনুসরণ করিতেছে ও করিবে। তিনি এ বিষয় লইয়া কাহারও সহিত বিচারে প্রবৃত্ত হইতেন না। আরও অনেক বিষয়ে তিনি বিচার করিতে রাজী হইতেন না । যে দিন তাহার দরবারে বসিয়া সৰ্ব্বপ্রথম ‘বন্ধে মাতরম্ গান গুনিলাম, গানটি কাহারও মনে ধৱিল না। এক জন বলিলেন, “অত্যন্ত শ্রুতিকটু হইয়াছে”—“শস্তস্তামলাং শ্রুতিকটু নয়, ত কি ? দ্বিসপ্তকোটীভুজৈৰ্ধতথরকরবালে ইহাকে কেহই শ্রুতিমধুর বলিবেন না।” এক জন বলিলেন—‘কে বলে মা তুমি অবলে’ “অবলের একার না ব্যাকরণ, না কিছু।” বঙ্কিমচন্দ্র এই কথাগুলি, একঘণ্টা ধরিয়া ধীরভাবে শুনিলেন, তাহার পর বলিলেন, “আমার ভাল লেগেছে, তাই লিখেছি। তোমাদের ইচ্ছা হয় পড়, নঙ্ক