পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্র ১৭৫ ফেলে দাও, না হয় পড় না।” প্রতিকটু দোষ, ঝাকরণ দোষ থাকিলেও ‘বন্দে মাতরম্ সমস্ত ভারত ছাইয়া ফেলিয়াছে। বঙ্কিমেরই জয় হইয়াছে। আমরাও এস, প্রাণ ভরিয়া বলি বন্দে মাতরম্ !’ যাহারা সৰ্ব্বদা বঙ্কিমচন্দ্রের কাছে থাকিতেন, তাহারা বঙ্কিম চন্দ্রকে কি ভাবে দেখিতেন, তাহা প্রকাশ করিয়া বলা যায় না। র্তাহাকে গুরু বলা যায় না, কারণ, তিনি উপদেশ দিতেন না ; তাহাকে সখা বলিবেন, সে স্পৰ্দ্ধা কেহ রাখিতেন না, অথচ সকলেই র্তাহাকে ভক্তি করিত, ভালবাসিত, তাহার মুখে একটি ভাল কথা শুনিলে কৃতাৰ্থ হইয়া যাইত। কেহ কিছু লিখিলে যতক্ষণ বঙ্কিম না ভাল বলেন, ততক্ষণ সে লেখা লেখাই নয়। সে একটা অনিৰ্ব্বচনীয় আকর্ষণ। যে সে আকর্ষণের মধ্যে পড়িয়াছে, সেই তাহা বুঝিতে পারিয়াছে, অন্তের তাহা বুঝিবার শক্তি নাই। সাহিত্য ভিন্ন অন্ত চর্চা তাহার বাটীতে, অন্ততঃ দরবারে হইতে পারিত না। আর সে চর্চার মধ্যে তিনিই সৰ্ব্বময় কৰ্ত্তা। যাহা তিনি বলিতেন, মানিয়া লইতে হইত, অথচ তাহাতে মান-অপমানের কিছু ছিল না। চব্বিশ বৎসর হইল, তিনি স্বৰ্গলাড করিয়াছেন। তিনি যে দেশকে জাগাইয়া দিয়া গিয়াছেন, সে দেশ এখন স্বদেশপ্রীতিতে মাতিয়া উঠিয়াছে,এবং তাহার স্মৃতিতে ভরিয়া গিয়াছে। আর এই যে গৃহ, যেখানে বসিয়া । তাহার “বঙ্গদর্শনে”র অধিকাংশ প্রবন্ধ লিখিত হইয়াছিল,যেখান হইতে বিষবৃক্ষ তাহার অমৃতময় ফল সৰ্ব্বত্র ছড়াইয়া দিয়াছে, যেখান হইতে শৈবমিনীর প্রায়শ্চিন্তু দেশকে পবিত্র করিয়া তুলিয়াছে,যেখান হইতে কোকিলের কুছম্বর রোহিণীকে উন্মাদিনী করিয়া দেশগুদ্ধ উন্মাদ