পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম বাবুর প্রসঙ্গ। ১৮৭৯৮ খৃষ্টাব্দের বর্ষাকালে চুচুড়ায় প্রথম বঙ্কিমবাবুর সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয় । মনে পড়িতেছে, সে দিন রথযাত্রা, এবং আমার সহযাত্রী অতুল বাবুতে আর আমাতে ট্রেণ ফেইল করিয়া অনেকক্ষণ হাবড়ার ষ্টেশনে বসিয়া ছিলাম। মিষ্টার অতুলকৃষ্ণ রায় তার পর যুরোপ ভ্রমণ করিয়া আসিয়াছেন—নানা দেশ দর্শন এবং বিস্তর প্রতিভাশালী ব্যক্তির সাহচৰ্য্য করিয়া সম্ভবতঃ তিনি সেদিনকার বর্ষাধৌত প্রভাতটকে ভুলিয়া গিয়াছেন, কিন্তু আমার জীবনে সে একটা নবযুগ। সাহিত্যচর্চার সেই নবীন উৎসাহের সময় আপনা হইতে বঙ্কিমবাবু আমায় দেখিতে চাহিয়াছিলেন। সৌভাগ্য-গৰ্ব্বের একটা আনন্দহিল্লোল আমার শরীর মন অভিষিক্ত করিতেছিল। চুচুড়ার ঘোড়াঘাটে আমাদের গাড়ী যখন পন্থছিল, বঙ্কিমবাবু তখন অফিসের পোষাক আঁটিয়া বাহির হইয়াছেন—এগারট বাজিতে বেণী দেরী নাই। বলিলেন, চিঠি পাইয়া প্রাতঃকালে আমাদের জন্ত অপেক্ষা করিয়াছিলেন। যা হোক, অফিস হইতে ফিরিয়া আসিলে কথাবাৰ্ত্ত হইবে। সেই প্রথমদর্শনে তাহার . সীেমামূৰ্ত্তিতে প্রতিভার যে জ্যোতি দেখিয়ছিলাম, আর কখনও সেরাপ দেখিয়াছি, মনে হয় না। ૪૨