পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচজ ২১৭ অন্নস্বল্প চিকিৎসা ব্যবসায়ও চালাইতেন। মহেশ বাৰু কলিকাতা মেডিকাল কলেজের এক জন সুবিখ্যাত ছাত্র। তিনি ছাত্রাবস্থায় যেরূপ ধ্যাতি লাভ করিতে পারিয়াছিলেন, পরীক্ষোত্তীর্ণ হইয়া তাদৃশ বিখ্যাত ডাক্তার হইতে পারেন হন নাই। তিনি কোনও এক বৎসর কলেজের সাংবৎসরিক পরীক্ষায় প্রশংসিতরূপে উত্তীর্ণ হইয়া একটা সুন্দর অণুবীক্ষণ যন্ত্র পারিতোষিকস্বরূপ প্রাপ্ত হইয়াছিলেন । * বঙ্কিম বাবুর সহিত মহেশ বাবুর আলাপ হইবার পর মহেশ বাবু সেই অণুবীক্ষণটা দিনকতকের জন্য বঙ্কিমবাবুর ব্যবহারার্থ প্রদান করেন। বঙ্কিমবাবু প্রতিদিন অপরাহ্লে সেই অণুবীক্ষণ সহযোগে কীটাণু, নানা পুষ্করিণীর দুষিত জল, উদ্ভিদের সূক্ষ্মভাগ, এবং জীবশোণিত প্রভৃতি সূক্ষ্ম পদার্থজাতির পরীক্ষা করিতেন। পরীক্ষার সময় আমিই র্তাহার একমাত্র নিত্য সঙ্গী থাকিতাম । পরীক্ষিত পদার্থনিচয়ের অপরূপ শোভা সৌন্দৰ্য্য সন্দর্শন করিয়া তিনি আশ্চর্য্যাম্বিত হইয়া বলিতেন, “জগতের মধ্যে কেবল আমরাই কুৎসিত, আর আর সমস্তই মুন্দর।” এই সমস্ত পরীক্ষার সময় আমি কখনও তাহার মধ্যে ঈশ্বরভক্তির অপর উচ্ছ,সি দেখি নাই ; কখনও ঈশ্বরের নাম গুণ শুনি নাই ; বা ঈশ্বরবিশ্বাসের কোনও পরিচয় কখনও পাই নাই। কিন্তু আমার অনুমান হয়, এই সকল অণুপ্রমাণ স্বটির

  • বঙ্কিম বাবুর মুখে শুনিয়াছি, এই যন্ত্রটার মূল্য ৪•••••N টাকার ४५ ब्लिज न।