পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/২৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“২২৬ বঙ্কিম-প্রসঙ্গ বাবু আলিপুরে ফিরিয়া গেলে আমি পুগিসের চাতুরী অবগত হইলাম। এরূপ চাতুরী-অবলম্বনে পুলিসের অন্ত স্বাৰ্থ ছিল না। উপরওয়ালা হাকিমদের ভয়েই তাহাদিগকে এই চাতুী অগত্যা অবলম্বন করিতে হয়। অনেক সাহেব হাকিমদের কৰ্ণে দুর্ভিক্ষজনিত কষ্টের কথা বড়ই তিক্ত লাগে। থানার পুলিস-রিপোর্টে একবার দুর্ভিক্ষ সম্বন্ধে দুই একটা কথা থাকাতে পুলিসের বড় সাহেব থানার দারোগার উপর বড়ই চটিয়া উঠেন। তাহাতে দারোগাট মানসিক ও নৈতিক সাহসের অসদ্ভাবপ্রযুক্ত খুব সতর্ক হইয়া যান। যখন ২৪ পরগণার ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেব দুর্ভিক্ষ সম্বন্ধে তথ্যানুসন্ধানের জন্তু বঙ্কিম বাবুকে এ অঞ্চলে পঠাইলেন, তখন তাহদের সহসা আশঙ্কা জন্মিল। যদি কোনও স্থানে দুর্ভিক্ষ প্রমাণিত হয়, আর যদি তাহারা পূৰ্ব্বাহ্লে উপরে সেই সংবাদ না দিয়া থাকে, তাই হইলে, তাহাদের উপর হাকিমদের সমস্ত তম্বী পড়িবারই কথা। দুর্ভিক্ষের সংবাদ দিলেও পুলিসের দোষ, না দিলেও তাহাদের দোষ ! সেই জষ্ঠ শেষে দুর্ভিক্ষ প্রতিপন্ন হইলে তাহাদের উপর পাছে কোনও দোষ পড়ে, তজ্জন্ত পুলিসকে এইরূপ চাতুরী অবলম্বন করিতে হয়। এরূপ স্থলে পুলিসের অবস্থা “ন যযৌ ন তস্থে", এগুলেও দোষ, পেছুলেও দোষ । . বাইশহাটার ও হাটপাড়ার দুর্ভিক্ষ ও তাহাতে অনাহারে মৃত ব্যক্তিদের অনুসন্ধানান্তে বঙ্কিমবাবু সেদিন মধ্যাহ্নে এখানকার সব-রেজিষ্ট্রার রায় কমলাপতি ঘোষাল, বাহাদুরের বাসায় স্নান