পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/২৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্র ও দ্বারবান পাঠক R© Ꮔ প্ৰহত করিয়া খেলিবার অবসর পায় নাই। যদি তাহা হইত, তাহা হইলে প্ৰেমধৰ্ম্ম-প্লাবিত সমগ্র বঙ্গভূমিতে আজি আবার ভগবদ্ভক্তির বান ডাকিত। . - রাত্রি ১০টা পৰ্য্যন্ত নীচের বৈঠকখানার হলঘরে কাকা মহাশয়ের বন্ধুবৰ্গ সমবেত থাকিতেন। তাহারা চলিয়া যাইলে, কাকাও উপরে যাইতেন। তখন রাখালচন্দ্র ও আমি নিৰ্ভয়ে গল্প-গুজব করিতাম। আমাদের সঙ্গে সঙ্গে পাঠক-মহারাজেরও ক্ষত্তি আসিত। কারণ, তিনি কাকাকে ব্যাবৎ ভয় করিতেন। কাকা উপরে যাইলে তিনি ফটকের কাছে একখানি খাটিয়া পাড়িতেন। তাহার একটি জীর্ণ দপ্তর ছিল। তাহার ভিতরে অনেক অমূল্যরত্ন-তুলসীদাসের রামায়ণ, গীত প্রভৃতি-তিনি শুধু গুছাইয়া রাখিতেন। খাটিয়া পাড়িয়া সেই দপ্তরটি লইয়া তিনি প্রত্যহ পাঠে বসিতেন। পাঠ অবশ্য মুর করিয়াই হইত। শ্রোতা ছিল মেঘ সহিল (কোচম্যান মুসলমান ছিল বলিয়া আসিত না) এবং জনৈক পশ্চিম ফুলুরী-বিক্রেতা। সে ঐ সময় ঠিক আসিয়া জুটিত। কখনও কখনও তাহার সঙ্গে এক বিপুল-দেহতারাক্রান্ত ঘনঘোর কৃঞ্চাঙ্গিনী আলিয়া হরিগাথা শ্রবণ করিতেন। এই কৃষ্ণাঙ্গনীকে দেখিলেই রাখালের হাসির উৎস খুলিয়া যাইত, তাহার লম্বন্ধে তখন অদ্ভুত অদ্ভুত মন্তব্যে হাসিতে হাসিতে আমার পেট ব্যথা হইয়া উঠিত। একদিন পাঠ হইতেছে। পাঠক মহারাজ পুস্তক-লিখিত কোন কথাই পাঠকালীন একেবারে উচ্চারণ করিতে পারিতেন না । ডাহাকে প্রায় প্রত্যেক