পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&%や বঙ্কিম-প্রসঙ্গ ভিতর একটা কিছু রহস্ত আছে, নহিলে এমনটা হয় না। কিন্তু কাক অসঙ্গত কিছু, এমন কি, এরূপ একটা জীবন্ত আহাম্মুকীও, দেখিলে, কখনও কখনও হঠাৎ রাগিয়া উঠিতেন। তখন তাহার সে কথা ভাবিবারও অবসর থাকিত না । যাহা হউক, সেদিন ত গেল। তাহার পরদিন কাক আফিস হইতে আসিয়াছেন। গাড়ী তখনও গেটে দাড়াইয়া আছে। পাঠক যুক্তকরে আবার উপস্থিত ; আবার তেমনই চীৎকার, পাঠকের তেমনই পলায়ন ! শেষে আর একদিন, রাত্রিতে সকলে চলিয়া যাইলে, পাঠক বৈঠকখানায় গিয়া উপস্থিত । কিন্তু কাক সেদিন বিনা বাক্যব্যয়ে বিরক্তি-সহকারে তখনই উপরে উঠিয়া গেলেন। ভাগ্যবলে তৎপরদিন পাঠকের দেশ হইতে চিঠি আসিল—সব খবর ভাল। পাঠকের মুখে আর হাসি ধরে না। রাখাল ভায় বলিল, “দেখিলে কেমন ? ছেলেদের যেমন জুজুর ভয় দেখায়, তেমনি জুজুর.ভয়—না শুধু ভয় কেন, আস্ত জুজুই-দেখাইয়াছি। এখন বৈঠকখানা হইতে পলাইতে হয়। রাখাল বাজুয্যের উপর বুঝিয় মুজিয়া মন্তব্য পাস না করিলেই জুজু আসে।” ইহার পর পাঠক আর আমাদের বাড়ীতে ছিলেন না। কাকা মহাশয়ের নভেলে হুসো পশ্চিমাদের যে চিত্র দেখিতে পাওয়া যায়, পাঠক এবং তাহার কদরের অপর দুই এক জনই তাহার উদ্দীপক। . ঐযতীশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।