পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/২৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“গীতা”র কথা ২৬৯ তৎপূৰ্ব্বে কয়েক বৎসর বরিয়া আমি সাহিত্যে' ধারাবাহিক রূপে কয়েকটি প্রবন্ধ প্রকাশিত করিয়াছিলাম। কারণ, আমার স্মরণ আছে, ইহার কিছুদিন পরে কোনও বিজ্ঞ সমালোচক নবীনচন্দ্রের কুরুক্ষেত্রের সমালোচনা উপলক্ষ্য করিয়া আমাকে সাহিত্যক্ষেত্রে ‘নবজাত শিশু বলিয়া সম্মানিত করিয়াছিলেন। বঙ্কিমবাবুর পটলডাঙ্গার বাসায় উপস্থিত হইয়া আমরা যথারীতি সংবাদ দেওয়ার পর তাহার দ্বিতল কক্ষে নীত হইলাম। আমি সন্ত্রমের সহিত র্তাহাঁকে প্রণাম করিলে, গোপালবাবু আমার পরিচয় করিয়া দিলেন। বঙ্কিমচন্দ্র ক্ষিত্তমুখে আমাদিগের অভ্যর্থনা করিয়া বসিতে বলিলেন। অল্পক্ষণ কথাবাৰ্ত্তার পর তিনি আমাকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেন,-“দেখুন, ‘সাহিত্যে আপনার যে “কালিদাস ও সেক্সপীয়র’ শীর্ষক প্রবন্ধগুলি প্রকাশিত হইতেছে, তাহা আমি যত্ন করিয়া পড়িয়াছি।” বলা বাহুল্য, আমি ইহাতে বিশেষ সম্মান বোধ করিলাম। আমি বলিলাম, “মাসিকে প্রকাশিতপ্রবন্ধ, সব আপনি পড়েন না কি ?” বঙ্কিমবাবু বলিলেন যে, “ই, অনেকই দেখিতে হয় বই কি ! কোথায় কোন নূতন লেখকের উদয় হইতেছে, তাহার সংবাদ রাখিতে ইচ্ছা করি।” প্রসঙ্গক্রমে বঙ্কিমবাবু শুনিলেন যে, আমি শীঘ্রই কর্ধক্ষেত্র ওকালতীতে প্রবিষ্ট হইব । তাহাতে তিনি কিছু অসন্তোষ্ণ প্রকাশ করিলেন, এবং বলিলেন, “তাহা হইলে আপনাকে আমরা সাহিত্যক্ষেত্র হইতে হারাইব ।” আমি নির্বন্ধ করিয়া