পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৩০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰঙ্কিমবাবু 3 aసె বৈঠকখানার তাহার পিতৃদেব ও তাহার নিজের তৈলচিত্র দেখাইয়া কছিলেন, “ঘরে স্থান নাই, নহিলে কয় ভারের, দীনবন্ধু ও জগদীশের ছবি রাখিতাম।” অনেকেই হয় ত জানেন না যে, এই জগদীশবাবুই “বিষবৃক্ষে”র হরদেব ঘোষালে কল্পিত হইয়াছেন। নগেন্দ্র ও হরদেব ঘোষালের দ্যায় বঙ্কিমবাবু ও জগদীশ বাবুর চিঠিপত্র চলিত। এ কথা জগদীশবাবুর পুত্র ভক্তিভাজন বাবু পগেন্দ্রনাথ রায়ের নিকট গুনিয়াছি। অনেক স্থলেই দেখা যায় যে, বন্ধুত্ব বন্ধুর মৃত্যুর সহিত ফুরাইয়া যায়। আমার পিতৃদেবের অনেক বন্ধু ছিলেন, এবং তাহাদেৱ অনেকেরষ্ট বন্ধুত্ব ক্ষণস্থায়ী হইয়াছিল। কিন্তু বঙ্কিমবাবুর বন্ধুত্ব সে জাতীয় ছিল না। আমার পিতৃদেরের মৃত্যুর পর তিনি আমাদিগকে ভ্রাতুষ্পপুত্রের ন্যায় দেখিয়াছিলেন। সততই আমাদের সংবাদ লইতেন। আবখ্যক হইলে সৎপরামর্শ দান করিতেন। র্তাহার দ্বারা যে উপকারসাধন হইতে পারে, তাহা করিতে কখনই বিরত হয়েন নাই। তিনিই পিতৃদেবের রচনাগুলি একত্র করিয়া গ্রন্থাবলীরূপে প্রকাশ করিতে বলেন, এবং নিজে পিতৃদেবের একটি ক্ষুদ্র জীবনীও লিথিয় দেন। ইহা পিতৃদেবের গ্রন্থাবলীর প্রথম সংস্করণে সন্নিবিষ্ট ছিল। তিনি ইহাকে স্বতন্ত্র পুস্তকাকারে ছাপিবার অনুমতি দেন, এবং এই জীবনী সে অবধি আমাদের দ্বারা মুদ্রিত ও প্রকাশিত হইতেছে। ইহার উপস্বত্বও আমরা ভোগ করিতেছি । মৃত বন্ধুর পুত্ৰগণের প্রতি এই স্নেহের চিন্তু অতীৰ বিরল। তাহার ঋণ পরিশোধনীয় নহে। কেহ কেহ বলেন,