পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৩০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Φί7 ο বঙ্কিম-প্রসঙ্গ অনেক স্থলে ঋণ স্বীকার করা ঋণ-পরিশোধের কতকটা উপায়। তাঙ্গ যদি সত্য হয়, তাহা হইলে আমরা সৰ্ব্বসাধারণের নিকট এই ঋণ স্বীকার করিতেছি। পিতৃদেবের গ্রন্থাবলী দ্বিতীয়বার মুদ্রিত হইবার সময়ে তিনি আমাদিগকে একখানি ইংরাজী পত্র পাঠান। তাহার আরম্ভে লিখিয়াছিলেন—“I owe it to the memory of your father that I should give a critical estimate of his writings”, got fistol(R a foi প্রচার করিবার আদেশ করিয়াছিলেন। ‘দীনবন্ধু মিত্রের কবিত্ব” শীর্ষক সমালোচনার পূর্বাভাস এই পত্রে পাওয়া যায়। এই প্রবন্ধের উপসংহারে লিখিয়াছেন,—“কথাটা দীনবন্ধুর গ্রন্থের পাঠকমণ্ডলীকে বুঝাইয়া বলিব, ইহা আমার বড় সাধ ছিল । দীনবন্ধুর স্নেহ ও প্রতি-ঋণের যতটুকু পারি পরিশোধ করিব, এই বাসনা ছিল। তাই এই সমালোচনা লিখিবার জন্য আমি তাহার পুত্রদিগের নিকট উপযাচক হইয়াছিলাম। দীনবন্ধুর গ্রন্থের প্রশংসা বা নিন্দ করা আমার উদ্দেশু নহে। কেবল সেই অসাধারণ মনুষ্য কিসে অসাধারণ ছিলেন, তাহাই বুঝান আমার উদ্দেশু।” “বঙ্গদর্শনে’র বিদায়গ্ৰহণ-প্রবন্ধ-পাঠে মনে হয়, তিনি আমার পিতৃদেবের মৃত্যুজনিত শোক নীরবে বহন করিয়াছিলেন। কাহারও নিকট যে কাদিয়াছিলেন, তাহাও শুনি নাই। শোক র্তাহার হৃদয়ে পুঞ্জীভূত হইতেছিল। কিন্তু যেদিন আমাদের বাটতে প্রথম পদার্পণ করেন, তাহার ক্ষত হৃদয়ের শোকরাশি সেতুবন্ধনে জলসংঘাতের ন্যায় উছলিয়া উঠিয়াছিল। তিনি