পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৩০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰঙ্কিমবাবু २brs আমাদিগকে দেখিয়া, আমাদের বালিকা সহোদরাকে ক্রোড়ে । করিয়া শিশুর ন্যায় উচ্চৈঃস্বরে রোদন করিয়াছিলেন। সে ঘটনা প্রায় চল্লিশ বৎসর পূৰ্ব্বে হইয়াছিল, কিন্তু এখনও আমার হৃদয়ে কল্যকার ঘটনার ন্যায় জাগিয়া আছে। সে দৃষ্ঠ জীবনে কখনও ভুলিব না । র্তাহার অকৃত্রিম বন্ধুত্বের চিহ্ন সাহিত্যেও পাওয়া যায় । আমার পিতৃদেব তাহাকে “নবীন তপস্বিনী’নাটক উৎসর্গ করেন। বঙ্কিমবাবুও তাহাকে"মৃণালিনী” উৎসর্গ করেন। তাছাদের বন্ধুত্ব যে বন্ধুর জীবনের সহিত শেষ হয় নাই, তাহ দেখাইবার জন্ত “আনন্দ-মঠে”র অভিনব উৎসর্গের সৃষ্টি হইয়াছে। তিনি লিখিয়াছেন,—“স্বর্গে মৰ্ত্তে সম্বন্ধ আছে। সেই সম্বন্ধ রাখিবার নিমিত্ত এই গ্রন্থের এইরূপ উৎসর্গ হইল।” ইংলণ্ডের রাজকবি টেনিসন তাহার বন্ধু হালামকে ভুলিতে পারেন নাই। কাব্যে ইহার অমর নিদর্শন আছে। যদি বীজের সহিত বৃক্ষের তুলনা সম্ভব হয়, তাহ হইলে বলা যাইতে পারে, “আনন্দ মঠে’র উৎসর্গ বাঙ্গল সাহিত্যের In Memoriam । শ্রদ্ধাস্পদ পূর্ণচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মহাশয় তাহার “বঙ্কিমচন্দ্র ও দীনবন্ধু’ শীর্ষক প্রবন্ধে এই বিষয়ের উল্লেখ করিয়াছেন। বিশ বৎসর বিচ্ছেদের পর আবার সেই দুই বন্ধু পুনরায় মিলিত হইয়াছেন। সে মিলন অনন্ত কালের জন্ত, তাহাতে বিচ্ছেদ নাই। মৃত বন্ধুকে উদ্দেশ করিয়৷ তিনি যে আপনাকে “ত্বদধীনজীবিতং’ বলিয়াছেন, তাহ প্রকৃতই সত্য । বঙ্কিমবাবুর কনিষ্ঠ পূৰ্ণবাবু একদিন আমাকে বলিলেন,—“তোমার