পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৩০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२४२ বঙ্কিম প্রসঙ্গ বাবার মৃত্যুর পর বঙ্কিমবাবুর জীবনের পূর্বকার অবস্থা আর দেখি নাই । যেন তার জীবনের গতির পরিবর্তন হইয়াছিল। এবার বদ্ধমানে সাহিত্য-সন্মিলন উপলক্ষে মহারাজ বাহাদুরের প্রণীত “চন্দ্রজিৎ’ নামক নাটকের অভিনয়দর্শনকালে একটি কথা বড় মনে লাগিয়াছিল। রাজা চন্দ্রজিং বলিতেছেন— “রাজর্ষির প্রধান কৰ্ত্তব্য হচ্চে সব মনে রাখা । স্মৃতির প্রত্যেকটিষ্ট সজাগ রাখিলে স্মৃতি-বিলোপনের উপায় মুসাধ্য, নচেৎ কৰ্ম্মক্ষয়কালীন কোন না কোন লুপ্ত স্মৃতি সজাগ হইয়া বিস্তু ঘটাইতে পারে।” বঙ্কিমবাবু সাহিত্যজগতের রাজর্ষি ছিলেন। র্তাহারও ঐরূপ স্মৃতিশক্তি ছিল। আমার পরলোকগত বন্ধু ৮শরৎকুমার লাহিড়ী বঙ্কিমবাবুর অসাধারণ স্মৃতিশক্তির পরিচায়ক একটি গল্প করিয়াছিলেন, তাহা নিম্নে বিবৃত করিতেছি – একবার বঙ্কিমবাৰু “সারল্যের পুত্তলিকা, পরহিতে রত, সকলে বিদিত” রামতনু লাহিড়ী মহাশকে দেখিবার জন্ত কৃষ্ণনগরে গমন করেন। শরৎবাবু তখন তরুণবয়স্ক। বয়সের চাপল্যনিবন্ধন তিনি বঙ্কিমবাবুর নিকট অগ্রসর হইয় তাহার একখানি ফটো চাহেন। বঙ্কিমবাবু তাহাকে বলেন যে, এক্ষণে র্তাহার আর ফটাে নাই ; যদি ভবিষ্যতে কখন আবার ফটো তোলেন, তাহ হইলে তাহাকে একখানি দিবেন। ইহার বহু বৎসর পরে যখন কলিকাতায় অবস্থানকালে পুনরায় ফটো তোলেন, সেই সময়ে তাহার কৰ্ম্মচারী উমাচরণকে বলেন যে, “রামতনুবাবুর পুত্র শরৎকে একবার আসিতে বলিও।” শরৎবাবু তাহার পিতৃসুলভ