পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৩২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম-প্রসঙ্গ ২৯৯ পত্তিস্থত্রে বিদ্যাসাগর মহাশয়ও সৰ্ব্বদাই তাহাদের সঙ্গসুখসম্ভোগের লোভে বারাসতে যাতায়াত করিতেন । সেকালে সমগ্র বঙ্গের মধ্যে বারাসত কলিকাতার নিকটে একট প্রধান স্থান ছিল। বঙ্কিমচন্দ্র ঐ বহু বহু সাধুগণের পদরজঃস্পর্শে পূত তীর্থস্থানে বিচারাসনে যখন উপবিষ্ট, তখনই তাহার সেই সৰ্ব্বজন-লোভনীয় সৌন্দর্ঘ্যের লীলা-বিলাস-সন্দর্শনে মুগ্ধ হইয়াছিলাম। একদা ঋষিরা রাম-রূপে মুগ্ধ হইয় রামের পুরুষকাস্তির প্রশংসা করিয়াছিলেন। আমি সেদিন কালীনাথের বিবাহের বিচার দেখিতে গিয়া সেক্ট যে বিচারক বঙ্কিমচন্দ্রকে নয়ন ভরিয়া দেখিয়া আসিয়াছিলাম, সৌন্দর্যোর তেমন বিজলী-লীলা তার কখনও কোথাও দেখিয়াছি বলিয়া স্মরণ হয় না। কলিকাতার সিংহ-সৌন্দর্ঘ্য ও চুচুড়ার ভূদেবরূপ দেখিয়াছি, তাচ মানবীয় সাধারণ সৌনন্দ বলিয়াই মনে হয় । জনসমাজের নেতৃস্তানীয় কেশবের সৌন্দর্য দেখিয়াছি, তাঙ্গ প্রতিভার পরাক্রমপুষ্ট, হৃদয়-মন-মা তান সোনাৰ্য্য সন্দেহ নাই। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথর সে স্থির গষ্ঠীর সৌনর্য্যরাশিও বিরল বটে। তদীয় কনিষ্ঠ পুত্র, ধীরেন্দ্রনাথ ও সুপুরুষ । কিন্তু যেন মনে হয়, মেয়েলী ঢংএর রূপরাশি তার চারিদিক আলো করে । কিন্তু বঙ্কিমের সে সিংহ-দি ক্রম-বিমণ্ডিত পেীরষভাবময় সৌন্দর্য্য আর কোথাও দেখিয়াছি বলিয়া মনে হয় না। সে রূপের দেমাক্‌ বড়ই স্বাভাবিক। বঙ্কিমচন্দ্র যে ভয়ানক দেমাকে ছিলেন বলিয়। শুনিতে পাই সে