পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৩২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম প্রসঙ্গ శ్రీt': লাৰণালীলার উল্লেখ করিয়া যখন বলিলাম, “আমার জন্মস্থান নলকড়া গ্রামের কালীনাথ ভট্টাচার্যের বিবাহ বিষয়ক মকৰ্দম উপলক্ষে ৰারাসতের আদালতগুতে বিচারাসনে উপবিষ্ট আপনাতে, আর এই প্রবীণ ও পরিণত বয়সের আপনাতে কত প্রভেদ । আপনার সেই সাবরাকাটা রুক্ষ অথচ ঘনকৃষ্ণবর্ণ-কেশরাশি-পরিশোভিত যুথ যে দেখিয়াছে, সে আজ আপনাকে দেখিয়া সেই বঙ্কিমবাবু দলিয়া কখনই চিনিতে পারিবে না।” বঙ্কিমচন্দ্র প্রসন্ন দৃষ্টিপাতে হাসিতে হাসিতে বলিলেন, আপনি আমাকে বারাসতে দেখিয়াছিলেন ? হুঁ!— হ্যা, এক বামুনের ছেলের বিবাহবিপ্লটের মামলা আমার স্বরণ হইতেছে। সেইদিন দেখেছিলেন ? সে আজ কতদিনের কথা, আর এ শরীরের উপর দিয়া কত শত প্রকাকের বড় বহিয়া গিয়াছে, কত অত্যাচার ও হইয়াছে, সে সকলের সংখ্যা হয় না। বেঁচে আছি সময়ে সময়ে ইহাই আশ্চৰ্য্য বলিয়৷ মনে হয়।” আমি যেই বলিলাম, "সুস্থ ও সবল দেক্তে দীর্ঘজীবন-যাপনের উপযোগী তায়োজনের ত অভাব ছিল না, তবে কেন এমন হইল ?” উত্তরে বলিলেন, “কতগুলি অত্যাচার শুনিবেন ? প্রথম চাকরীর চাপ, চাকুরীতে মানুষ আধমরা হয়। তার উপর নিজের সখ—কিছু লেখাপড়ার রোগ ছিল। বঙ্গদর্শনের জন্ত কত রাত্রি যে জাগিয়াছি, তাহার সংখ্যা নাই। ঘাড়ে ভূত চাপার মত, আমার বিশ্রামসুখ-লালায়িত অবসর শরীর মনকে আমার ইচ্ছার