পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৩২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७०२ বঙ্কিম-চন্দ্র বিরুদ্ধে দিবারাত্রি থাটাইয়াছে। ইহার উপর অন্ত নানা প্রকারেও শরীরের উপর অত্যাচার হইয়াছে। এখন এ বয়সে আর সাম্‌লাইবার উপায় নাই।” বঙ্কিমবাবুব এই অকপটতা আমাৰ হৃদয়ে সমগ্র শ্রদ্ধা ফুটাইয়া তুলিল দেখিয়াছি অনেক লোক, অনেক বড়লোকও অনেক সময়ে আত্মগোপনের চেষ্টায় ব্যস্ত হন। অমরপুরুষ বঙ্কিমচন্দ্রের অকপটতা আমার নিকট ঋযিজনোচিত বলিয়া মনে হইয়াছিল। তার পর বললেন, “দেখুন, আর কিছুদিন বাচিয়া থাকিতে ও সঙ্গে সঙ্গে আরও কিছু কিছু কাজ করিতে বড় সাধ, কিন্তু দেহের অবস্থা সম্যক উপযোগা বলিয়া মনে হয় না । মানসিক পরিশ্রমেই মানুষ অত্যধিক ক্লান্ত হইয়া পড়ে। শরীর মন উভয়ের শ্রমের সামঞ্জস্য রাখিয়া চলিতে পারিলে হয় ত এখনও আর কিছুদিন বাঢ়িয়া থাকা সম্ভব হইত, কিন্তু এ বয়সের উপযোগী শারীরিক শ্রমের ক্ষেত্র কোথায় ?” শেষে গ্লাড ষ্টোন প্রভৃতি ইংলণ্ডীয় দুই চারি জন কৰ্ম্মার নাম করিয়া বলিয়াছিলেম, “এদের মত স্তর রামেশচন্দ্র প্রভৃতি আমরা কতকগুলি লোক মিলিত হইয়া নানাবিধ শ্রমকর ক্রীড়াকৌতুকে অররাত্বকাল গড়ের মাঠে কাটাইতে পারিলে বোধ হয় শরীরে কিঞ্চিৎ শান্তি ও শক্তির সঞ্চার হইতে পারিত। কিন্তু এ বয়সে ‘সিং ভেঙ্গে বাছুরের দলে মেশার মত ব্যাপারে লিপ্ত হইতেও লজ্জাবোধ হয়। আর, সহরের লোক, বিশেষতঃ কলেজের ছেলেরা, বুড়োদের খেল নিয়ে কত তামাসা করিবে, সেটা বড়ই মুস্কিলের কথা !”