পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৩২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম-প্রসঙ্গ Voo V) বঙ্কিমচন্দ্র সম্বন্ধে আলোচনা করিতে বসিয়া তাহার কত কথাই আজ স্মরণ হইতেছে। সেগুলি গুছাইয়া লিখেতে হইলে, নিজেকে লুকাইয়া রাখিরা র্তাহারই কথা আলোচনা করিতে গেলে, অনেক কথার সৌন্দর্য্য নষ্ট হয়, অথচ তাহার সঙ্গে পরিচয় ছিল বলিয়া নিজের কথাও প্রবন্ধের মধ্যে প্রবিষ্ট করাইতে সম্মত নহি । তাই আজ অনেক কথা হাতে রাখিয়া কেবলমাত্র আর দুই তিনটি বিষয়ের আলোচনা করিব। পণ্ডিতবর শশধর তর্কচূড়মণি মহাশয় যখন উত্তর ও পূৰ্ব্ববাঙ্গাল হইতে কলিকাতায় আদিয়া বৰ্ত্তমান হিন্দুসমাজের অবসন্ন কলেবরে শক্তিসঞ্চারের প্রাসী হইয়াছিলেন, এবং ক্রমে ক্রমে অনেকগুলি বক্তৃতা করিয়াছিলেন, সে সকলের কয়েকটতে আমি উপস্থিত ছিলাম । আলবার্ট হলে আহূত সভা সকলের কয়েকটতে বঙ্কিমচন্দ্রকে আমি উপস্থিত হইতে দেখিয়াছি। তৎপূৰ্ব্বেই তাহার সঙ্গে আমার পরিচয় হইয়াছিল। দুই তিনটা বক্তৃতার উপস্থিত হইবার পর, আর তাহাকে দেখা গেল না। তথন আমার তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিবার কৌতুহল জন্মিল। আমি একদিন সুবিধামত তাহার সঙ্গে দেখা করিলাম। প্রসঙ্গক্রমে তর্কচূড়ামণি মহাশয়ের বক্ততার কথা তুলিলাম। তিনি হাসিতে হাসিতে বলিলেন, “কয় দিন তার বক্তৃতা শুনিতে গিয়াছিলাম । ওরূপ বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাতে কতকগুলি অসার লোক নাচিয়া ‘ধরাকে সরা জ্ঞান’ করিতে পারে কিন্তু ওতে কোনও স্থায়ী ফল হইতে পারে না ।