পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৩৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰঙ্কিম-প্রসঙ্গ כלפי মুন্নীকে বলিলাম, হাড়ী ভাঙ্গিয়াছে, এইবার হাটে পাঠাইব । মুল্লীর সেদিনকার"লাজনত আঁখি”আমার এখনও মনে আছে!— অনেক বাক্বিতণ্ডার পর স্থির হইল, এ কাহিনী গুপ্ত থাকিবে। —আজ এ কথা ছাপিয়া দিলাম। জগৎ শেঠ বলিয়াছিলেন,— “প্রতিহিংসা, প্রতিহিংসা, প্রতিহিংসা সার, প্রতিহিংসা বিনা মম কিছু নাছি আর । ইহাও সেই প্রতিহিংসা। জীবনের প্রভাতে যাহাদের ভরসার “সাহিত্যে” হাত দিয়াছিলাম, তাহার এখন স্ব স্ব ক্ষেত্রে সাফল্য ভোগ করিতেছেন। সাহিত্যের ও “সাহিত্যে’র নামগন্ধও র্তাহীদের মনে নাই। আমি একাকী মড়া আগলাইয়া’ বসিয়া আছি। মুন্নী “সাহিত্যে”র তদানীন্তন মুরুীদের অন্যতম। প্রতিহিংসার সাধ হয় না ? তাই সেই পৌরাণিকী বিড়ম্বনার কাহিনী ছাপিয় শোধ লইলাম। আশাকরি, Less majesty হইবে না ! তখন আর একজন “সাহিতো’র উদ্যোগী, হিতৈষী, কৰ্ম্ম ছিলেন। তিনিও বিলাতে যান। সমুদ্রে ভাসিতে ভাসিতে “সাহিত্যে’র জন্ত গছ-গান রচিয়া এডেন হইতে, সুয়েজ হইতে, মাসর্ণই হইতে ডাকে দিয়াছিলেন। বিলাত হইতে ফিরিয়া মালঞ্চে ফুলের চাষ করিয়াছিলেন, তারপর আইনের গোলকধাধায় প্রবেশ করেন। আমার শাপ ফলিয়াছে। তাহাকেও এত দিন পরে রোগে ধরিয়াছে। পরিণত বয়সে সাগর-সঙ্গীত শুনিয়া শঙ্খের মত সমুদ্রের আরাব ধরিয়া রাখিয়াছিলেন, দেশে আনিয়াছিলেন। চব্বিশ পচিশ বৎসর পরে তিনি নারায়ণের চরণে সোণার তুলসী