পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৩৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্র שכיסא তারপর আমার দিকে চাহিয়া বলিলেন, “তোমার হাতে কি ?” আমি অবসর পাইয়া কম্পিত-হস্তে সেই “সাহিত্য-কল্পদ্রুম” ও কল্পদ্রুম-কাটা “সাহিত্য” বঙ্কিম বাবুব হাতে দিলাম। বঙ্কিম বাব হাসিতে হাসিতে গ্রহণ করিয়াই বলিলেন, “আগেই বলে রাখি, তোমরা যদি আমাকে কালীঘাটে নিয়ে গিয়ে বলি দাও, তাতেও আমি রাজী আছি। কিন্তু আমাকে তোমাদের কাগজে লিখতে বলো না ।” গল-ধাক্কা বটে ! কিন্তু কি সুন্দর, কি মিষ্ট, প্রত্যাখ্যান ! যে আশায় গিয়াছিলাম, তাহাতে ছাই দিয়া, মুবুদ্ধির মত তখনই বলিলাম, “যে আজ্ঞে !” - দু'জনে আড়ষ্ট হইয়া বসিয়া রছিলাম । অসাধ্যসাধন করিতে পারিলাম না। কিন্তু আমার মনে হইল, ফাড়াটা অতি অল্পেষ্ট কাটিয়া গেল। বঙ্কিম বাবু “সাহিত্য” সম্বন্ধে দুষ্ট চারিটি প্রশ্ন করিলেন। মুন্নী বলিল, “সুরেশকে আমরা সম্পাদক করিয়াছি”। বঙ্কিম বাবু আমাকে বলিলেন, “তোমার দাদা-মশায় জানেন ?” আমি বড় বিপদে পড়িলাম। দাদা-ম’শায় জানেন কি না, তাহা আমিও ঠিক জানিতাম না । তাহাকে জিজ্ঞাসা করি নাই। এখন ভাবি জিজ্ঞাসা করিলে ভাল হইত। খুব সম্ভব, তিনি আমাকে এমন অনধিকার-চর্চা করিতে দিতেন না। বাড়ীতেই আফিস ছিল। লুকাইবার জিনিষ নয়, হয় ত গুনিয়া থাকিবেন, বারণ করেন নাই। মুনী বলিল, “বোধ হয়, তিনি জানেন।"