পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৩৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

937 বঙ্কিমচন্দ্র হইল। বিচার ক্রমে বিতণ্ডায় পরিণত হইল। বিতর্ক ক্রমে চরমে উঠিল। সংবাদপত্রে বাদরামী দেখা দিল । স্বৰ্গীয় শু্যামলাল মিত্র বিদ্যাসাগরের বন্ধু ছিলেন। তিনি সংস্কারের পক্ষপাতী ; সমুদ্র-যাত্রার সমর্থন করিতেন । এই সময়ে “জন্মভূমি”তে সমুদ্র যাত্রার বিরুদ্ধে একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। শ্যামলীল বাবু সেই প্রবন্ধের প্রতিবাদ করিয়া একটি প্রবন্ধ লিখিয়াছিলেন । ১১৯৯ সালের অষাঢ় মাসের “সাহিত্যে” ঐ প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। তাহার পর, “সাঠিতে "ব এক জন পৃষ্ঠপোষক, আমার অগ্রজতুল্য, প্রতিষ্ঠাশালী স্থলেখক সমুদ্র-যাত্রার বিরোধীদিগকে ব্যঙ্গ করিয়া একটি প্রবন্ধ লেখেন ; এবং “সাহিত্যে ’ ছাপাইবার জন্য পাঠাইয়া দেন । প্রবন্ধটি পাইয়৷ আনন্দিত হইয়াছিলাম, কিন্তু পড়িয়া গোলে পড়িলাম। আমাদের “সাহিত্য” তখন প্রায় গণতন্ত্র ছিল। এখন গণও নাই তন্ত্র ও নাই ; জন ও ত খুজিয়া পাই না –যাক, এখন গণের কথাই বলি ! এই রচনার লেখক সমুদ্ৰ-যাত্রার বিরোধীদিগকে ‘বানর বলিয়া গালি দিয়াছিলেন। আমি বলিলাম, “প্রবন্ধটি ছাপিয়া কাজ নাই ।” গণের কেহ কেহ আমার সমর্থন করিলেন ; কিন্তু অনেকেই ছাপিতে বলিলেন । যিনি লিখিয়াছিলেন, তাহার লেখাই তখন “সাহিত্যে’র প্রধান অবলম্বন ছিল। তাহার লেখা না ছাপা সুবুদ্ধির কাজ নয়, তাহাও শুনিলাম। কিন্তু সকলেই স্বীকার